স্টাফ রিপোর্টার: ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা।’ সোমবার সকালের ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসের এটাই থিম সং।একদিকে খালিদ-সুভাষ। তো অন্যদিকে কাটসুমি-আমনা। যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে এদিন এমনই সব ছবির ছড়াছড়ি। প্র্যাকটিসের শুরু থেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামলেন দুই কোচ খালিদ জামিল এবং সুভাষ ভৌমিক। ফুটবলাররা যখন গার্সিয়ার কাছে ওয়ার্ম আপে ব্যস্ত, তখন মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আলোচনা সেরে নিলেন ইস্টবেঙ্গল পরিবারের দুই অভিভাবক। বাড়ির মা-বাবার মধ্যে সমস্যা মিটে গেলে ছোটরা যেমন হাসিখুশি থাকে, ইস্টবেঙ্গল শিবির ছিল ঠিক তেমনটাই।
[বল বিকৃতি কাণ্ডে এক বছর নির্বাসনের মুখে স্মিথ, খোয়ালেন আইপিএলে নেতৃত্বও]
সোমবার প্র্যাকটিসে কথা কাটাকাটি হয় আমনা ও কাটসুমির। যার রেশ ছড়িয়েছিল বাকিদের মধ্যেও। আমনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন চুলোভা, ব্র্যান্ডনের মতো গত বছরে আইজলের সতীর্থরা। সঙ্গে ক্রোমাও। প্রায় একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন কাটসুমি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুই ফুটবলারের মধ্যে সমস্যা মেটাতে নেমে পড়েন সুভাষ। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বেশি চর্চা করেননি সুভাষও। জানতেন তখন রেগে আছেন ফুটবলাররা। তাই কোনও কথাই তাঁদের কানে ঢুকবে না।
এদিকে দলের মাঝমাঠের দুই নিউক্লিয়াসের সমস্যা মেটাতে সোমবারকে বেছে নিলেন সুভাষ। প্র্যাকটিস শুরুর আগে নিজের ঘরে ডেকে নিলেন দু’জনকে। আমনা-কাটসুমির সঙ্গে কথা বললেন। ব্যস! সমস্যার সমাধান।সব রাগ ভুলে একসঙ্গে মাঠে নামলেন দু’জন। আর খালিদ? মুখে বাঁশি নিয়ে নেমে পড়লেন মাঠে। সুভাষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুটবলারদের নির্দেশ দিলেন তিনিও। মাঝেমধ্যেই আলোচনা করতে দেখা গেল দুই কোচকে।
[জার্মানিতে টুর্নামেন্ট শেষ, গ্রেপ্তারি এড়াতেই দেশে ফিরলেন না সৌম্যজিৎ!]
খালিদ কিছু বলতে না চাইলেও অনুশীলন শেষে কথা বললেন সুভাষ। “আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যাই নেই। এই তো দেখলেন না কী সুন্দর একসঙ্গে কাজ করলাম! খালিদই তো মূলত প্র্যাকটিস করাল আজ। যত ঝামেলা সব আপনাদের তৈরি করা।” মন্তব্য ময়দানের ভোম্বলদার। সোমবার প্র্যাকটিসে আসেননি চুল্লোভা ও রালতে। এদিন একই সময়ে পাশের মাঠে প্র্যাকটিস করল মহামেডান স্পোর্টিং। পরে একসঙ্গে আড্ডায় মাতলেন দু’দলের ফুটবলাররা।
The post একসঙ্গে কোচিং খালিদ-সুভাষের, বচসা ভুলে হাত মেলালেন আমনা-কাটসুমি appeared first on Sangbad Pratidin.