সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের (KIFF 2024) মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে 'বসুধৈব কুটুম্বকম'-এর বার্তা। ভৌগোলিক সীমানা, কাঁটাতার পেরিয়ে, জাত-ধর্ম নির্বিশেষে কীভাবে সিনেমাই এই ধরাধামকে একসূত্রে গাঁথতে পারে, সেই মন্ত্রই শোনা গেল এদিন মমতার (CM Mamata Banerjee) মুখে। চিরাচরিতভাবে এদিনও তিনি ধরা দিলেন 'টলিউডের অভিভাবক' হিসেবে। বাংলা ছবির তারকা, কলাকুশলীদের উৎসাহ জোগানোর পাশাপাশি বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে টলিউডের প্রতিভাদের তুলে ধরার কথাও বললেন 'দিদি'।
৩০তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এবারের ফোকাস কান্ট্রি ফ্রান্সের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, ইরানের সিনে ব্যক্তিত্বরাও। সেখানেই টলিউডের শিল্পী এবং কলাকুশলীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা। তাঁদের হয়ে আন্তর্জাতিক ময়দানে সিনে ব্যক্তিত্বদের কাছে আবেদনও রাখলেন। বাংলার প্রতিভারা যাতে বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রেও নিজের জায়গা করে নিতে পারে, সেই সুযোগ দেওয়ার কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উপস্থিত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "টলিউডের শিল্পী, কলাকুশলীদের দক্ষতা কোনও অংশে কম নয়। বাংলায় প্রচুর ভালো ভালো লোকেশনও রয়েছে। সেগুলো আন্তর্জাতিক সিনেমহলও তুলে ধরুক। পাহাড়-সমুদ্র, জঙ্গল প্রকৃতির সবরকম প্রাচুর্যে পূর্ণ আমাদের পশ্চিমবঙ্গ। আপনাদের সিনেমায় আমাদের বাংলার এই বিভিন্ন লোকেশন দেখান। বাংলার সঙ্গে কাজ করুন। বাংলা এগিয়ে চলুক বিশ্ব পানে।"
কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 'বাংলার মাটি, বাংলার জলের' বন্দনা করে আন্তর্জাতিক সিনেমহলকে পশ্চিমবঙ্গে আসার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই বিশ্ব একটি পরিবার। সিনেমার কোনও বাউন্ডারি নেই। ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে সিনেমাই এক করে বিশ্বকে। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে দাঁড়িয়েই বললেন, বলিউড-হলিউডকেও হার মানিয়ে দেয় টলিউড। একদিন আসবে যেদিন বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে জ্বলজ্বল করবে বাংলা। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউড তারকাদের দেখা না গেলেও জাঁকজমক কোনও অংশে কমেনি। বরং দিদির ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চ থেকে অডিটোরিয়াম ভরালেন টলিউডে প্রবীণ-নবীন প্রজন্ম। তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং সৌরভকে পাশে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গৌতম ঘোষ এবং চলচ্চিত্র উৎসবের কমিটির কাছে এবার তাঁর বিশেষ নির্দেশ ছিল, আন্তর্জাতিক সিনেমার পাশাপাশি যেন বাংলা ছবিও গুরুত্ব পায়।