সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারে (Qatar) অমানবিক হত্যাকাণ্ড। ২৯টি কুকুরকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ। বেশ কিছু কুকুর হামলাকারীদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেলেও আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সারমেয় প্রেমী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গোটা বিষয়টি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এরপরই নিন্দার ঝড় ওঠে। কেন এই হত্যাকাণ্ড?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দোহা শহরে একটি এলাকায় এক শিশুকে কুকুর কামড়ায়। এতেই মাথায় আগুন চড়ে যায় ওই শিশুর বাবা ও তাঁর আত্মীয় পরিচিতদের। এরপরই এলাকার কুকুর সাফাই অভিযানে নামে তাঁরা। দোহার ওই সারমেয় প্রেমী সংগঠনের বক্তব্য, শিশুকে কুকুর কামড়ানোয় হামলাকারীরা স্থানীয় কারখানার কাছাকাছি এলাকাটিকে কুকুরমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ওই এলাকাবাসী পথকুকুরদের খাবার দিয়ে ও অন্যভাবে দেখভাল করে থাকেন। যদিও তা মানতে চায়নি হামলাকারীরা। স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের হুমকি দিয়ে সারমেয় হত্যা অভিযান চালায় তারা। গুলি করে হত্যা করা হয় ২৯টি কুকুরকে। কুকুরছানাও রক্ষা পায়নি এই ঘটনায়। আহত হয় বেশ কিছু সারমেয়।
[আরও পড়ুন: সংকটের শ্রীলঙ্কায় আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভারতের সাহায্যপ্রার্থী দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী নেতা]
সারমেয় প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, ওই এলাকার কুকুরগুলি খুব শান্ত প্রকৃতির। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সখ্য ছিল। নিরাপত্তারক্ষী তা জানালেও হামলাকারীরা নিরস্ত হননি। হামলাকারীদের হাতে বন্দুক থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা সাহস করে তাঁদের আটকাতে পারেননি। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে দোহার একটি প্রাণী অধিকার সংগঠনের মন্তব্য, “বর্বর কাজ, কাতারের সাধারণ সমাজকে কলুষিত করা হল।” ওই সংগঠনের তরফে কাতার সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্তা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে মেয়ের বিয়ের গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন মহিলা!]
এদিকে ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রকাশ্য হতেই শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের হাতে বন্দুক থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনদের একাংশ। সেই কারণেই হত্যাকাণ্ড সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এইসঙ্গে অসংখ্য নেটিজেন ঘটনার নিন্দা করে মৃত কুকুরদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেন।প্রত্যেকেরই বক্তব্য, নিরীহ প্রাণীদের সঙ্গে যা হল, তা মান যায় না। মর্মান্তিক ঘটনা।