গৌতম ব্রহ্ম: এক ছোবলে হাতি মারতে পারে৷ গিলে ফেলতে পারে বাছুর৷ এতটাই ভয়ঙ্কর শঙ্খচূড়৷ কেউটে প্রজাতির এই রাজা হারিয়ে গিয়েছিল বাংলার মাটি থেকে৷ দীর্ঘদিন দেখা মিলছিল না৷ বাংলার সর্পবিশারদরা শোকপালন শুরু করেছিলেন৷
অবশেষে বাংলার মানচিত্রে নাটকীয়ভাবে ফিরে এল ‘কিং কোবরা’ বা শঙ্খচূড়৷ আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা অঞ্চলে৷ বিষও ঢালল৷ যদিও বিশ্বের সবথেকে বিষাক্ত সাপের ছোবল খেয়েও বেঁচে গেলেন এক পানচাষি৷
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ জুন বিকেলে৷ বাড়ির পাশে পানের বরজে কাজ করছিলেন সুকুমার দাস৷ সন্ধ্যা নামছে৷ এমন সময় বাঁ পায়ের পাতায় ছোবল মারে শঙ্খচূড়৷ তারপরই ক্ষীপ্র গতিতে ঢুকে যায় একটি মরা সুপুরি গাছের কোঠরে৷ ৫৫ বছরের সুকুমারবাবু কোনওক্রমে টলতে টলতে বাড়িতে আসেন৷ সময় নষ্ট করেননি বাড়ির লোকজন৷ ছেলে সুজয় দাস জানান, বাবাকে মিনিট কুড়ির মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে৷
সর্পাঘাতের ক্ষতস্থান দেখে আঁতকে ওঠেন মেডিক্যাল অফিসার পার্থপ্রতিম দাস৷ বুঝতে পারেন, এ যেমন-তেমন সাপ নয়৷ এ সাপের প্রতিষেধক নেই৷ তবু, প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা শুরু করেন৷ প্রথমে দশ ভায়াল, তারপর আরও কুড়ি ভায়াল এভিএস দেওয়া হয়৷ ১৫ জুন সকালে চোখ মেলে তাকায় রোগী৷ কিন্তু বিকেলে ফের অবনতি হয় শারীরিক অবস্থার৷ তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সুকুমারবাবুর৷ শুরু হয় যমে-মানুষে টানাটানি৷ সুকুমারবাবুকে সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়৷ দেওয়া হয় আরও ৭০ ভায়াল এভিএস৷ পার্থবাবু জানিয়েছেন, সিসিইউ-তে রাখা হলেও সুকুমারবাবু এখন সঙ্কটমুক্ত৷ দু’দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছুটি দেওয়া হবে৷
The post বাংলার মানচিত্রে ফিরে এল ‘মারাত্মক’ শঙ্খচূড় appeared first on Sangbad Pratidin.
