সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইনা নেহওয়ালের (Saina Nehwal) পোস্টে বিতর্কিত মন্তব্য করে অস্বস্তিতে জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা সিদ্ধার্থ (Siddharth)। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এফআইআর দায়ের করার হুঁশিয়ারিও পেয়েছেন অভিনেতা। এবার তাঁকে বিঁধলেন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এদিকে সাইনার বাবাও তীব্র নিন্দা করেছেন সিদ্ধার্থের এহেন মন্তব্যের।
গত সপ্তাহে অলিম্পিকে পদকজয়ী ভারতীয় শাটলার সাইনা টুইটারে মোদির নিরাপত্তার গাফিলতির তীব্র নিন্দা করেন। লেখেন, “যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেখানে দেশবাসী কীভাবে নিরাপদ? এমন কাপুরুষোচিত আচরণকে ধিক্কার জানাই।” সঙ্গে ভারত মোদির পাশে আছে (#BharatStandsWithModi) হ্যাশট্যাগও দিয়েছিলেন সাইনা। এই টুইটটিতেই কমেন্ট করেন ‘রং দে বসন্তি’ খ্যাত অভিনেতা। কার্যত খোঁচা দিয়েই লেখেন, “বিশ্বের সাটল-কক চ্যাম্পিয়ন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে ভারতকে রক্ষা করার মানুষ রয়েছে।” এরপরই যোগ করেন, “রিহানা, তোমার লজ্জা করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: COVID-19: ‘কোভিড সুরক্ষিত’ সেলিব্রেশন! পাক পেসারের কীর্তি মন কাড়ল নেটিজেনদের, দেখুন ভিডিও]
বিদেশি তারকাকে টেনে এনে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকাকে শুধু খোঁচা দেওয়াই নয়, এমন টুইটকে অত্যন্ত অশালীন বলেও দাবি করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার কিরেন রিজিজু তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘ভারতকে স্পোর্টিং পাওয়ারহাউস হিসেবে গড়ে তুলতে সাইনার অবদানের জন্য ভারত গর্বিত। অলিম্পিকের পদকজয়ী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন অবিচল দেশভক্তও। এমন একজন আইকনের সম্পর্কে এমন সস্তা মন্তব্য নীচ মানসিকতারই প্রকাশ।’’
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাইনার বাবা হরবীর সিং নেহওয়াল জানিয়েছেন, ‘‘আমি পুরো ব্যাপারটাই দেখেছি। উনি যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি জেনেছি উনি দক্ষিণের নামী অভিনেতা। কিন্তু তিনি সাইনার বিরুদ্ধে খারাপ শব্দপ্রয়োগ করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক নয়।’’ এমন মন্তব্যের জন্য সিদ্ধার্থর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের অদক্ষতা! শাস্তি কমল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার পেরোসেভিচের]
সিদ্ধার্থের মন্তব্য যে একেবারেই ভাল লাগেনি, সে কথা গোপন করেননি সাইনা। সোমবার হায়দরাবাদি তারকা জানান, “এর মাধ্যমে উনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, জানি না। অভিনেতা হিসেবে সিদ্ধার্থকে ভালই লাগত। কিন্তু এটা ভাল লাগল না। ইচ্ছা করলে স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্য পেশ করতেই পারতেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়তো এই ভাষাই চলে।” যদিও সপক্ষে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, তাঁর মন্তব্যের অন্য ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কারও ভাবাবেগে ইচ্ছাকৃত আঘাত করতে চাননি তিনি।