সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে জন্ম হলেও বাঙালি খানাপিনা রসনা কিন্তু বড়ই প্রিয় ছিল কিশোর কুমারের। নিজে যেমন খাদ্যরসিক ছিলেন, তেমনই বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ণ করে পাত পেড়ে খাওয়াতেও তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার! ফুলকো লুচি, বেগুন ভাজা, মাংসর পাশাপাশি কিংবদন্তীর ভয়ানক দুর্বলতা ছিল মাছের প্রতি। প্রবাসী হলেও তিনি ছিলেন মাছে-ভাতে খাঁটি বাঙালি। ইলিশ-চিংড়ি তরজা না করেই রসনাতৃপ্তিতে মন দিতেন। শোনা যায়, খামখেয়ালি কিশোর কুমারের ডেট পাওয়ার সমস্যা সমাধান করে দিত একটা ইলিশ মাছ! শচীনকর্তা, শক্তি সামন্তরা ইলিশ নিয়ে হাজির হয়ে যেতেন তাঁর বাড়িতে। এরপর একবাক্যে রেকর্ডিংয়ের ডেট ঠিক হয়ে যেত। সুপ্রিয়া দেবীর স্মৃতিচারণাতেও শোনা গিয়েছিল কিশোর কুমারের মাছ-প্রীতির কথা। ‘গোল্ডেন প্রন মালাইকারি’ আর ‘ভেটকির ঝাল’ তাঁর বড়ই প্রিয়।
কিশোর কুমারের জন্মদিনে সংবাদ প্রতিদিন-এর তরফে রইল তাঁর প্রিয় একটি পদ ‘ভেটকি ঝাল’-এর রেসিপি। প্রথমেই জেনে নিন কী কী লাগবে?
ভেটকি মাছ- বড় টুকরো করে কাটা (৫০০ গ্রাম), পিঁয়াজবাটা (২টো বড় মাপের), রসুনবাটা (২চাচামচ), আদাবাটা (২চাচামচ), দই (২ টেবিলচামচ), লঙ্কারগুঁড়ো (২ চাচামচ), কাঁচা লঙ্কা (৮টি), কালো জিরে (১ চাচামচ), জিরেগুঁড়ো (২ চাচামচ), সরষের তেল, নুন, চিনি, হলুদ (পরিমাণমতো)।
[আরও পড়ুন: রাঁধবেন নাকি উত্তমকুমারের প্রিয় ‘ভেটকির কাঁটা চচ্চড়ি’? জেনে নিন রেসিপি]
কীভাবে বানাবেন?
মাছের পিসগুলো ভাল করে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়ায় তেল গরম করে ভেজে তুলুন। ওই তেলেই এবার কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে পিঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, আদাবাটার সঙ্গে কাঁচালঙ্কা, নুন, হলুদ, লঙ্কারগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষান। মশলার কাচা গন্ধ যেন না থেকে। তেল ছেড়ে এলে এবার এতে অল্প জল দিয়ে কষান আরেকবার। ঘন গ্রেভিতে টক দই দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে ফুটিয়ে তুলুন। এবার এতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো দিয়ে ঢেকে দিয়ে মাঝারি আঁচে মিনিট চারেক রাখলেই তৈরি কিশোর কুমারের প্রিয় ‘ভেটকি ঝাল’।
বিঃ দ্রঃ- এই রান্নায় অনেকে আলু, বড়ি এবং ধনেপাতা ব্যবহার করেন। আপনাদের পছন্দ হলেও করতে পারেন।