রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: লকডাউনে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বসতেন যখন, কুলকিনারা পেতেন না। করোনা আস্ফালনে গোটা বিশ্ব যখন গৃহবন্দি, অনিশ্চয়তা এতটাই তাঁকে গ্রাস করত যে ঝিমঝিম করত মাথা। কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক (Dinesh Kartik) আজও সে সব ভাবলে শিউরে ওঠেন। ‘‘প্রথম প্রথম ভালই লাগত। ট্রেনিং করতাম। বাড়িতে ছিলাম বলে এটা-সেটা করতাম। কিন্তু যখন লকডাউন দুই, তিন, চার সপ্তাহ করে বাড়তে শুরু করল অস্থির লাগতে শুরু করল। জানতাম না, পরের ম্যাচটা কবে খেলতে পারব আমি। জানতাম না, ট্রেনিং করছি কী কারণে? খুব একঘেয়ে লাগত সময় সময়,’’ স্টার স্পোর্টসের এক শোয়ে বলে দিয়েছেন কার্তিক।
কেকেআর (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেছেন যে, তাঁর ভাগ্য ভাল সঙ্গে দীপিকা পাল্লিকেল ছিলেন। যিনি আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্লেয়ার শুধু নন, কার্তিকের সহধর্মিনীও বটে। যাঁর থেকে এই কঠিন সময়ে অনুপ্রেরণা নিতেন নাইট অধিনায়ক। ‘‘তার পর আমি দীপিকা দেখলাম। এখই রকম অনিশ্চয়তা নিয়ে ও ট্রেনিং করে যাচ্ছিল। মনে হল, স্কোয়াশের চেয়ে তাড়াতাড়ি ফেরার সম্ভাবনা তো আছে ক্রিকেটের। দীপিকাও জানে না আমার মতো যে কবে থেকে খেলাধুলো শুরু হবে। কিন্তু নিজের ট্রেনিংটা তো ঠিক চালিয়ে যাচ্ছে,’’ বলে দিয়েছেন কার্তিক।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, করোনার জেরে বাতিল ভারতের শ্রীলঙ্কা সফর]
ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, করোনা পরবর্তী যুগে বলে লালা ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বোলারদের সামনে ঠিক কতটা সমস্যা আসতে চলেছে? উত্তরে কার্তিক বলে দেন, ‘‘বেশ বড়সড় সমস্যা আসছে। ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। হবে টেস্টে। প্রথম কুড়ি-তিরিশ ওভারই তো বলটা নতুন থাকে। যখন পেসাররা সুইংয়ের খোঁজে থাকে। এবার বলে যদি লালা ব্যবহার না করা যায়, তা হলে সুইং করানো মুশকিল হয়ে যাবে।’’
এখানেই শেষ না করে নাইট অধিনায়ক আরও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এত দিন গৃহবন্দি থাকার পর তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগবে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিট হতে। ‘‘বিশেষ করে পেসারদের। নেমেই ঘন্টায় একশো চল্লিশ থেকে একশো পঞ্চাশ গতিতে বল করা সম্ভব হবে না। অতএব, ওদের জন্য বড়সড় চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে।’’
[আরও পড়ুন: এবছর আইপিএল হচ্ছেই! আইসিসির বৈঠকের পরই রাজ্য সংস্থাগুলিকে চিঠি সৌরভের]
The post লকডাউনের দিনগুলির কথা ভাবলেই কেন শিউরে ওঠেন নাইট অধিনায়ক কার্তিক? appeared first on Sangbad Pratidin.