সন্দীপ চক্রবর্তী: শান্তিপূর্ণ পুরভোট চাই, তাতে এতটুকুও হিংসা-অশান্তির রং যেন না লাগে। অশান্তির একটিও অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। শনিবার কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) প্রার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর বার্তা, ”ভোট শান্তিতে করতে হবে, কোনওরকম অভিযোগ যেন না আসে। নম্র থাকতে হবে। গায়ের জোরে নয়, মানুষের পাশে থেকে ভোট করাতে হবে। একটিও অভিযোগ পেলে দল কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নেবে।” প্রয়োজনে বহিষ্কারের পথেও হাঁটতে পারে তৃণমূল। পাশাপাশি, যাঁরা পুরভোটে শাসকদলের টিকিট পাননি, তাঁরাও দলের সৈনিক। পুরভোটে তাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলেও বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। এছাড়া দলের বিক্ষুব্ধ, যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদেরও প্রচ্ছন্ন বার্তা, সকলে একসঙ্গে লড়াই করুন। নয়ত বহিষ্কারের খাঁড়া নামতে পারে।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকা ধরে ধরে নির্বাচনী রণকৌশল (Election Strategy)ঠিক করতে শনিবার প্রার্থী ছাড়াও দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহারাষ্ট্র নিবাসে দুপুর ১টার কিছু পরে বৈঠক শুরু হয়। প্রার্থীরা ছাড়াও ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় দলীয় সভাপতি তাপস রায়ও ছিলেন বৈঠকে। অন্দরের খবর, ভোট কীভাবে হবে, তার পাঠ দিতে গিয়ে অভিষেক মূলত জোর দিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার দিকে।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: কলকাতা পুরসভায় কত আসন পেতে পারে তৃণমূল? কী বলছে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা?]
অভিষেকের কথায়, ”মনে রাখতে হবে, সারাদেশ তাকিয়ে এই ভোটের দিকে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি মেনে ভোট করাতে হবে। আত্মতুষ্টি নয়। মনে রাখতে হবে, জনগণ ৫ বছরের জন্য আপনাদের দায়িত্ব দেবে। জনতার আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, তাঁদের জন্য কাজ করে যেতে হবে।” পাশাপাশি অভিষেক আরও বলেন, দলনেত্রীর ভাবমূর্তি যাতে এতটুকুও কালিমালিপ্ত না হয়, সেদিকে প্রার্থীদের কড়া নজর রাখতে হবে।
[আরও পড়ুন: বন্ধু হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে টাকা চাইছে? সাবধান, নিমেষেই নিঃস্ব হতে পারেন আপনি]
বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়। ফিরহাদ জানান, বিরোধীদের চক্রান্তে পা না দিয়ে, দলীয় লাইন মেনে প্রচারে ঝাঁপাবেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এলাকার বিশিষ্টজনদেরও প্রচারে শামিল করতে হবে। যাঁদের প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে, এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের নজরে রয়েছেই। তবে যাঁরা এবারই প্রথম পুরভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ পাঠ দিয়েছেন অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে এলাকায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবীন প্রার্থীদের।