সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপট। এবার ডেঙ্গুর করাল থাবায় মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের। শান্তনু মজুমদার নামে ওই ব্যক্তি পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিক ছিলেন। শুক্রবার সকালে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই উল্লেখ রয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে।
শান্তনু মজুমদার নামে ওই ব্যক্তি কলকাতার পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিক। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা ওই পুর আধিকারিক। তাঁর বাবাও ভুগছিলেন জ্বরে। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তাই তাঁদের খড়দহের এক নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। সেখানেই দিনকয়েক চিকিৎসাও চলে। তা সত্ত্বেও কিছুতেই সুস্থ হচ্ছিলেন না শান্তনু। বৃহস্পতিবার ওই পুর আধিকারিকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাঁকে ইএম বাইপাসের ধারে এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানেও চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দেননি শান্তনু মজুমদার। রাতের দিকেই চিকিৎসকরা প্রায় আশা ছেড়ে দেন। তাঁরা জানিয়ে দেন শান্তনুবাবুর শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করছে না। এরপর শুক্রবার ভোরের দিকে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই পুর আধিকারিকের। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় শান্তনু মজুমদারের বাবা এখনও ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
কলকাতা পুরসভার অত্যন্ত দক্ষ এবং পরিচিত আধিকারিক ছিলেন শান্তনু মজুমদার। তাই অসুস্থ থাকাকালীন প্রায় প্রতিদিনই তাঁর খোঁজ নিতেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। শান্তনুর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে দুঃসংবাদে ভেঙে পড়েছেন নিহতের সহকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: চলতি মাস থেকেই বাংলায় নিষিদ্ধ গুটখা ও তামাকজাত পানমশলা, নিয়ম ভাঙলেই কড়া শাস্তি]
দিন যত যাচ্ছে ততই ভয়ংকর আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে শহরের অন্তত আড়াই হাজার বাসিন্দা মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত। ডেঙ্গির প্রকোপ রোধে পুরসভার তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলাকা পরিষ্কার রাখা, ব্লিচিং ছড়ানো চলছে সবই। তবে তা সত্ত্বেও রোগের প্রকোপ রোখা যে সম্ভব হচ্ছে না, পুরকর্মীর মৃত্যুতে আরও একবার প্রমাণ হল সেকথাই।
The post ক্রমেই বাড়ছে দাপট, ডেঙ্গুর থাবায় এবার মৃত্যু পুর আধিকারিকের appeared first on Sangbad Pratidin.