কৃষ্ণকুমার দাস: সদিচ্ছা থাকলেও তথ্য বিকৃত করে জালিয়াতির আশঙ্কা ও পুর আইনের জটিলতায় অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিতে পারছে না কলকাতা পুরসভা (KMC)। কারণ, বাম আমলের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, পথ শিশুদের এই সার্টিফিকেট দেওয়ার সুযোগ নিয়ে বহু ভুয়ো নাগরিককে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল একটি অসাধু চক্র।
[আরও পড়ুন: ‘উখাড়কে ফেক দো’ মন্তব্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি, ফিরহাদকে আইনি চিঠি দিলেন বৈশাখী]
এই বিষয়ে শনিবার পুরভবনে মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “চলতি আইন অনুসারে জন্ম বা মৃত্যুর সার্টিফিকেটে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিকের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। অনলাইনে এই স্বাক্ষর সম্ভব নয়। তাই আইন সংশোধন করা জরুরি।” ‘টক টু কেএমসি’ কর্মসূচিতে উলুবেড়িয়া থেকে এদিন এক ব্যক্তি তাঁর স্বজনের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে ফিরহাদকে ফোন করেন। ওই ব্যক্তির পরিজন কলকাতার হাসপাতালে মারা গেলেও তাঁর শেষকৃত্য হয় উলুবেড়িয়াতেই। কিন্তু তিনি পুরভবনে না এসে অনলাইনে ডেথ সার্টিফিকেটের চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে দু’দিনের মধ্যে তদন্ত করে ওই ব্যক্তির স্বজনের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক।
এদিন বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যর সময়ে পুরসভার তরফে পথশিশুদের জন্ম সার্টিফিকেট দেওয়ার বিশেষ সুযোগের অপব্যবহারের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মুখ্যপ্রশাসক। পুরসভার তরফে অনলাইনে সার্টিফিকেট দেওয়ার পরিষেবা ঘিরে ফের নতুন কোনও কেলেঙ্কারি হোক তা চায় না বর্তমান প্রশাসকমন্ডলী। বস্তুত এই কারণে পুরকমিশনারকে অনলাইনে সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে সার্বিক জটিলতা কাটাতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।