ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election)। ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী উভয় দলই জোর দিয়েছে ভোটপ্রচারে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে ভাবাচ্ছে নানা প্রশ্ন। আগামী পাঁচ বছরে কোন পথে এগোবে কলকাতার উন্নয়ন? সে সংক্রান্ত ঠিক কী পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের? সাধারণ মানুষের কথা ভেবে শনিবার দুপুর ২টোয় ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। হাজরার মহারাষ্ট্র নিবাস থেকে ইস্তেহার প্রকাশের কথা। দলের প্রার্থীদের নিয়ে হাজির থাকবেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আগামী দিনে ঠিক কোন পথে কলকাতার (Kolkata) উন্নয়ন এগোবে, সে সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হবে ইস্তেহারে। এখনও বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সূত্রের খবর, সে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি হলে কলকাতায় কিছু কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জলযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। জলযন্ত্রণা দূর করে নিকাশি সমস্যা মেটানোয় বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যানজট রুখতে বিশেষ ভাবনার কথাও উল্লেখ থাকতে পারে ইস্তেহারে। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, পরিচ্ছন্নতা, সুরক্ষা-সহ এমনই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি ও দুর্নীতিমুক্ত পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও থাকবে তৃণমূলের (TMC) ইস্তেহারে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ আধিকারিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আমেরিকার]
বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক লাভের আশায় পুরভোটের ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখে ইস্তেহারে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে কলকাতাবাসীকে। প্রায় একই সুর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলায়। বিজেপিকে দেখেই নাকি তৃণমূল ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তিনি আরও বলেন, “লোকেরা জানুন, ওঁরা কী কাজ করবেন।” যদিও তৃণমূল বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বর্তমান উন্নয়নের নিরিখেই আসন্ন কলকাতা পুরভোটে জয় আসবে বলেই আশাবাদী ঘাসফুল শিবিরের।
উল্লেখ্য, মাত্র দিনকয়েক আগেই কলকাতা পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। কলকাতার স্বাস্থ্য থেকে নিরাপত্তা, পরিবেশ থেকে সংস্কৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। রয়েছে দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও। শুক্রবার পুরভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের ইস্তেহারে কী চমক থাকে, সেদিকেই নজর সকলের।