shono
Advertisement
Kolkata

খাস কলকাতায় ছুরি হামলা! ফলের ঝুড়ি নিয়ে মামুলি বিবাদ থেকে রক্তারক্তি, আক্রান্ত যুবক

তালতলা থানা এলাকার মেহেদি বাগানের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন, এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত যুবক।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 01:54 PM Dec 15, 2024Updated: 02:36 PM Dec 15, 2024

নিরুফা খাতুন: ফলের ঝুড়ি নিয়ে মামুলি বিবাদ থেকে ছুরি হামলা! রক্তারক্তি কাণ্ড তালতলা থানা এলাকার মেহেদি বাগানে। বিক্রেতার ছুরির আঘাতে আক্রান্ত হয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি ক্রেতা। তদন্তে নেমেছে তালতলা থানার পুলিশ। ঝগড়া থেকে এমন হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসীও।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মেহেদি বাগান এলাকার দুই ব্যবসায়ী মানোয়ার ও সফি আহমেদ। প্রথমজন কলা বিক্রেতা। আর দ্বিতীয়জন তাঁর থেকে রোজ কলা কেনেন। শনিবারও এক ক্রেট কলা মানোয়ারের থেকে নেন সফি। ক্রেট ফেরত দেওয়া নিয়েই উভয়ের মধ্যে বচসা বাঁধে। মানোয়ারের অভিযোগ, সফিকে তিনি ভালো ক্রেট দিয়েছিলেন। কিন্তু সফি তাঁকে ভাঙা ক্রেট ফেরত দিয়েছেন। এর পর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দুজন। অভিযোগ, তর্কাতর্কির চলাকালীন একসময়ে কলা কাটার ছুরি বের করে সফির উপর হামলা চালায় মানোয়ার। হামলায় সফির শরীরের বাঁদিকে পেটের কাছে বড়সড় ক্ষত হয়েছে।

রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সফি। তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপারেশনের পর এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় তালতলা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানোয়ার ছাড়া বাকি ধৃতদের নাম আফ্রিদি এবং সইফ। মানোয়ারই মূল অভিযুক্ত বলে ধারণা পুলিশের। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও মানোয়ারের দাবি, সে নির্দোষ। তিনজনকে সোমবার আদালতে পেশ করবে তালতলা থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সামান্য ফলের ঝুড়ি নিয়ে বচসা থেকে খাস কলকাতায় ছুরি হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত সব মহল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ফলের ঝুড়ি নিয়ে মামুলি বিবাদ থেকে ছুরি হামলা খাস কলকাতায়!
  • কলা কাটার ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩, আক্রান্ত যুবক ভর্তি এনআরএস হাসপাতালে।
Advertisement