সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামিকাল, ১ এপ্রিল থেকেই বদলে যাচ্ছে আয়করের (Income Tax) বহু নিয়ম। ক্রিপ্টো কারেন্সির উপরে কর কিংবা রিটার্ন জমা অথবা ইপিএফের (EPF) সুদ নানা ধরনের বদলের কথা আগেই জানিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস তথা সিবিডিটি। এবার তা কার্যকর হতে চলেছে। জেনে নেওয়া যাক পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে।
EPF অ্যাকাউন্টে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা পড়লেই দিতে হবে কর। সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫ লক্ষ।
বড় পরিবর্তন হয়েছে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রেও। এবার থেকে করদাতারা যদি রিটার্নের সময় কোনও ভুল করে থাকেন তাহলে পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে রিটার্ন (Loss Return) আপডেট করতে পারবেন। আগের নিয়মে মাত্র ৫ মাস সময় পাওয়া যেত আপডেটের জন্য।
[আরও পড়ুন: শান্তি ফিরছে উত্তরপূর্বে! নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুরে কমল বিতর্কিত AFSPA’র ভৌগলিক এলাকা]
নতুন অর্থবর্ষ থেকে মিউচুয়াল ফান্ড অথবা শেয়ার বাজারে লগ্নি করলে লভ্যাংশের উপরেও বসবে কর।
এবার থেকে করের আওতায় চলে আসছে ডিজিটাল সম্পত্তিও। ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটেই সেকথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের উপরে দিতে হবে ৩০ শতাংশ কর। তাছাড়া যখনই কোনও ক্রিপ্টো সম্পদ বিক্রি করা হবে, তখনই তাঁর বিক্রয়ের উপর ১ শতাংশ টিডিএস কাটা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘যাঁরা মদ খান তাঁরা ভারতীয় নন, মহাপাপী’, মদ্যপায়ীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন নীতীশ কুমার]
করছাড়ের আওতায় আসবে করোনায় আক্রান্তদের পরিবারও। কোনও ব্যক্তি কোভিডে মারা গেলে তাঁর পরিবার যে ক্ষতিপূরণ পাবে, ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তা করছাড়ের আওতায় আসবে। তবে মৃত্যুর ১২ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেলে তবেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই হিসেব ধরতে হবে।
বিশেষ ভাবে সক্ষম কোনও ব্যক্তির অভিভাবক যদি তাঁর জন্য বিমা করেন তবে সেটি করছাড়ের আওতায় আসবে।