বৈদিক হিন্দু ধর্ম বলে, ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক, নিতান্ত ইচ্ছা বশেই তাঁর বহু রূপে প্রকাশ।
ব্যাপারটা কিন্তু শুধুই ঈশ্বরের লীলা নয়। মানুষের স্বভাব বহু এবং বিচিত্র। সেই জন্য তার আরাধ্য ঈশ্বরও বহু রূপে ধরা দেন। যাঁর মহিমা পছন্দ হয়, মানুষ তাকে বেছে নেয় ইষ্ট দেব বা দেবী হিসেবে।
কিন্তু, ঈশ্বর পূজার সঙ্গেও রাশিচক্রেরও রয়েছে এক নিবিড় যোগ। জন্মলগ্ন অনুযায়ী একেকজনের জন্য নির্দিষ্ট এক দেবতার পূজাই শ্রেয়। সেই পূজায় তাঁর ভাগ্য যতটা প্রসন্ন হয়, অন্য দেবতার পূজায় ততটাও হয় না।
তাহলে রাশি অনুযায়ী মন দেবেন কার আরাধনায়?
এরিস, স্করপিও, ক্যাপ্রিকর্ন আর অ্যাকোয়ারিয়াস:
এরিস আর স্করপিওর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে মঙ্গল। অন্য দিকে, ক্যাপ্রিকর্ন আর অ্যাকোয়ারিয়াসের ভাগ্যনিয়ন্তা শনি। এই দুই গ্রহের প্রকোপ এড়াতে এই চার রাশির জাতক-জাতিকার পক্ষে শিবের পূজা মঙ্গলদায়ক।
টরাস আর লিব্রা:
এই দুই রাশির জাতক-জাতিকা জীবনে যা-ই করতে যান না কেন, তাঁদের ভাগ্যের রাশ থাকে শুক্রের হাতে। শুক্র গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাই মন দিন দেবী মহালক্ষ্মীর পূজায়।
জেমিনি আর ভার্গো:
জেমিনি আর ভার্গোর গ্রহাধিপতিও মঙ্গল। কিন্তু এই রাশির জাতক-জাতিকার জন্মলগ্ন অনুযায়ী মহাবিষ্ণুর পূজা এঁদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ।
ক্যানসার:
ক্যানসার যাঁদের রাশি, তাঁদের ভাগ্যকে শাসন করে চন্দ্র। চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করে ভাগ্য প্রসন্ন করতে হলে এঁদের দেবী পার্বতীর পূজা করা উচিত।
লিও:
সিংহ রাশির জাতক-জাতিকার গ্রহাধিপতি সূর্য। এঁদের পক্ষেও শিবের পূজাই বিধেয়!
স্যাজিটেরিয়াস আর পাইসেস:
এই দুই রাশির জাতক-জাতিকার ভাগ্য বৃহস্পতির বশে! তাই শিবের দক্ষিণমূর্তি রূপের পূজা করলে এঁদের অভীষ্ঠ পূর্ণ হবে।
এই জায়গায় এসে একটা কথা মাথায় না রাখলেই নয়। রাশি অনুযায়ী কোন দেবতার পূজায় ভাগ্য খুলবে, সে না হয় বোঝা গেল! কিন্তু, অন্য দেবতা? তাঁদের পূজা কি ছেড়ে দিতে হবে তাহলে?
কখনই নয়! শুধু রোজ সকালে রাশি অনুযায়ী ইষ্টদেবতার পূজা প্রথমে করুন। বাকিটুকু তার পর না-হয় ছেড়ে দিন তাঁরই হাতে!
The post রাশি অনুযায়ী কোন দেবতার পূজায় খুলবে ভাগ্য! appeared first on Sangbad Pratidin.