সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু রহস্যের সমাধান কেন এখনও হচ্ছে না? সুশান্ত সিং রাজপুত যে আত্মহত্যা করেছেন তার প্রমাণ কী? বারবার কেন ফরেন্সিক চিকিৎসকরা বক্তব্য পাল্টাচ্ছেন? এই কারণেই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন সুশান্ত-ভক্ত এক মহিলা। মহিলার পোস্ট দেখেই পুলিশকে খবর দেন নেটিজেনরা। ভবানীপুরে গিয়ে সুশান্ত-অনুরাগীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটিতে বিস্তর কান্নাকাটি করেন মহিলা। বারবার হুমকি দিয়ে বলেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন। আবার কখনও এমনও বলেন যে, এদিন তিনি একটি চ্যানেলে লাইভ টক শো দেখবেন। তারপরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। মহিলার কীর্তিকলাপ দেখে একাধিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) বিষয়টি জানান। এর পরই পুলিশ আধিকারিকরা সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে জানতে পারেন যে, মহিলার বাড়ি ভবানীপুরে। তাঁর বাড়িতে হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। বাড়ির লোকেরা জানান এখন তিনি অন্য একটি জায়গায় আছেন। দক্ষিণ কলকাতার সেই জায়গাটির ঠিকানা বের করে সেখানেও পুলিশ যায়। প্রায় দরজা ভেঙে মহিলাকে বের করে নিয়ে আসা হয়। বাড়ির লোককে বলা হয়েছে, আবেগপ্রবণ ওই মহিলার যেন চিকিৎসা করানো হয়। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: খুনই হয়েছেন সুশান্ত! AIIMS চিকিৎসকের গোপন অডিও ফাঁস হতেই তদন্তে নাটকীয় মোড়]
এদিকে প্রয়াত অভিনেতার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে শিব সেনার (Shiv Sena) মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয় লেখায়। লেখা হয়েছে, সুশান্ত ছিলেন ‘একজন চরিত্রহীন মানুষ যিনি ব্যর্থতা মেনে নিতে পারতেন না।’ লেখা হয়েছে, ‘পথভ্রষ্ট বাহনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। ফলে তিনি মাদকে ডুবে যান। একদিন গলায় দড়ি দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেন।’
সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, ‘মুম্বই পুলিশ সুনিপুণ তদন্ত করছিল। তারাই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুলিশ দল। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারকে স্বার্থপর রাজনীতির জন্য ব্যবহার করা হল। বুলেট ট্রেনের গতিতে সিবিআইকে (CBI) তদন্তে নামাল কেন্দ্র।’ সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়, মুম্বই পুলিশকে হেয় করার জন্য রাজ্য সরকারের উচিত কেন্দ্র এবং বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা। এরই মধ্যে শোনা গিয়েছে, মুম্বই পুলিশ নাকি এমন ৮০ হাজার ফেক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে যেখানে ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ (#justiceforsushant) হ্যাশট্যাগ দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে।