অভিরূপ দাস: প্যান্টে বল ঘষে দৌড়ে আসছেন মহম্মদ মিরবায়েস। কপালের ঘাম গ্লাভসের বুড়ো আঙুলে মুছে দম নিচ্ছেন সোমনাথ খাঁড়া। টানটান উত্তেজনা মাঠ ঘিরে। কলকাতা (Kolkata) না আফগান (Afghan)? শেষ হাসি কে হাসবে? আয়োজকরা বলছেন, যেই জিতুক ম্যাচ শেষের কোলাকুলিটাই আসল। এ ম্যাচ (Cricket match) তো সম্প্রীতির।
সৌর্হাদ্যের প্রাচীর ঘেরা ভালোবাসার তিলোত্তমা। যুদ্ধ যুদ্ধ আবহেও সে দূরে সরিয়ে রাখতে শেখেনি দীর্ঘদেহী, টিকালো নাক, কাবলে দাড়ির আফগানদের। রবিবার দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় আফগান বনাম কলকাতা ক্রিকেট ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর আগে দু দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। উত্তোলন হবে ভারত-আফগান পতাকা। এক নিমেষে দেখে মনে হতেই পারে আন্তর্জাতিক কোনও ক্রিকেট ম্যাচ। যে ম্যাচ দেখতে উপস্থিত থাকবেন অল ইন্ডিয়া পাখতুন জগরা–ই–হিন্দ-এর সভাপতি ইয়াসমিন নিগার খান। সম্প্রীতির এই ম্যাচের আয়োজক ঢাকুরিয়া তরুণ মহল। চাক্ষুষ করতে চাইলে হাজির থাকতে হবে তরুণ মহলের মাঠে।
[আরও পড়ুন: India vs England: ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢুকে বোলিংয়ের প্রস্তুতি যুবকের! হতবাক উমেশ! তারপর…]
এমন সময় এই ম্যাচ যখন আফগানিস্তান তালিবানের দখলে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সরকার ঘোষণা করতে পারে তারা। তার চেয়েও বড় কথা, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পরেই সন্ত্রাসবাদীদের দৌড়াত্ব বাড়ার আশঙ্কা করছে ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশ। সেই আশঙ্কা আরও বাড়ছে এক জঙ্গি সংগঠনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে। সেখানে এভাবে আফগানদের আমন্ত্রণ?
ঢাকুরিয়া তরুণ মহলের অনর্ঘ্য গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আফগানরা জঙ্গী নন। এ শহরে আফগানিস্তানের বহু বাসিন্দাই থাকেন। তালিবানরা তাঁদের দেশ দখল নেওয়ার পর ভয়ে জুজু হয়ে রয়েছেন মানুষগুলো। তাঁদের অভয় দিতেই এই সম্প্রীতির ক্রিকেট ম্যাচ। ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর আগে অকাল রাখিবন্ধনও পালন করবে ঢাকুরিয়া তরুণ মহল। পাড়ার বাসিন্দারা রাখি পরিয়ে দেবেন আফগানদের।