নব্যেন্দু হাজরা: ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন চৈত্রের মাঝামাঝি। আকাশ কালো করে এখন কালবৈশাখী আসার সময়। কিন্তু দিন কয়েক ধরে গুমোট আবহাওয়া থাকলেও কালবৈশাখীর দেখা নেই। তবে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত যেন এর মাঝেই একটু স্বস্তির বার্তা বহন করে এনেছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্র খবর, এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া ও তার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। তার উপর বাংলাদেশ অসংলগ্ন এলাকা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দুই ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথা ও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবারেও এই সাত জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবার বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধু উপকূলের জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। তবে যেভাবে জলীয়বাষ্প ঢুকছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, তাতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে রবি ও সোমবারও ঝড় বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের শীতল হাওয়া আর বঙ্গোপসাগর থেকে পূবালী হওয়ার সংঘাতেও তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। এই মুহূর্তে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে জম্মু-কাশ্মীরের উপর। উত্তর পশ্চিম ভারতে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে রবিবার। তার জেরেও বৃষ্টি হতে পারে বাংলায়।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৩৪ থেকে ৯৪ শতাংশ।
The post জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে appeared first on Sangbad Pratidin.