স্টাফ রিপোর্টার: ছোট হচ্ছে বইমেলার প্রতিটি স্টল। রবিবার মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে জানানো হল এমনটাই। গিল্ড সূত্রের খবর, স্টল মালিকদের লম্বায় এবং চওড়ায় ৩৫ শতাংশ করে ছোট করতে বলা হয়েছে। এমনটা করার কারণ? পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বইপ্রেমীরা ভিড় করবেনই। কিন্তু যত ফাঁকা জায়গা থাকবে শারীরিক দূরত্ব পালন সহজ হবে। স্টলের মাপ পরিবর্তন হওয়ায় এবার বইমেলার ম্যাপ নতুন ঠেকবে বই প্রেমিকদের কাছে। করুণাময়ী মেলা উদ্যানে আয়োজিত ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা (Kolkata Book Fair) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ তেরো নাম, ঈশ্বর তেরো নাম’, লতার শেষযাত্রায় শাহরুখের প্রার্থনায় ফুটে উঠল আসল ভারত ]
রবিবারের বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু দে—সহ অন্যান্যরা। প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে গিল্ড কর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন মেলা না হওয়ায় আমজনতার পা পড়েনি। নতুন গাছ হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। সবুজ ঘাসে ঢেকে গিয়েছে চত্বর। গিল্ড—কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব সবুজ রেখেই সাজানো হচ্ছে মেলা চত্বর। এবারের থিম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ।
এদিন করুণাময়ী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বইমেলায় একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ১৬ জন স্বনামধন্যকে স্মরণ করা হবে সেখানে।” গিল্ড সূত্রে খবর, সদ্যপ্রয়াত দেশের সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকেও স্মরণ করা হবে বইমেলায়। স্মরণ তালিকায় থাকবেন দিলীপ কুমার, বুদ্ধদেব গুহ, বিরজু মহারাজও। ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “গত দেড় বছরে অসংখ্য মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য আমরা একটি প্যাভিলিয়ন করছি। বাংলায় করোনার ধাক্কা অনেকটা সামাল দেওয়া গেলেও এখনও পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি কোভিড থেকে।” ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মাস্ক ছাড়া বইমেলায় প্রবেশের অনুমতি নেই। প্রবেশপথের গেটেই দেখা হবে করোনার ডবল ডোজ ভ্যাকসিনের কাগজও।”