shono
Advertisement

Breaking News

করোনার জেরে বন্ধ স্কুল, ঘরবন্দি অবস্থায় দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে ফেলল ৯ বছরের খুদে

খুদে হাতের কামাল দেখলে অবাক হতে হয় বই কী।
Posted: 07:21 PM Oct 08, 2020Updated: 07:21 PM Oct 08, 2020

সুলয়া সিংহ: বড় হয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোই বড়মাপের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখে ক্রিকেট অন্তপ্রাণ অগ্নীশ। আবার মাঝেমধ্যে বলে, “না, বাবার মতোই আর্টিস্ট হব।” বয়স মোটে ৯। তাই ইচ্ছেরা ডানা-মেলে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়ায়। আর সেই ইচ্ছেতেই ভর করে আপাতত নিজের প্রিয় কাজটি করে ফেলেছে সে। পুজোর আগে জোড়া দুর্গা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) বিজয়গড় এলাকার এই খুদে।

Advertisement

করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। তবে কয়েনের উলটো পিঠের মতো এই ভাইরাসের হাত ধরে সমাজ ও মানুষ অনেককিছু পেয়েওছে। লকডাউনে ঘরবন্দি থাকতে থাকতে যেমন বাড়ির বহু ‘ফাঁকিবাজ’ কর্তাই গৃহকর্মে পটু হয়ে উঠেছেন, তেমনই বাড়ির খুদেদের মাথাতেও ঘুরপাক খেয়েছে নতুন নতুন জিনিস। কেউ সময়োপযোগী ফেস শিল্ড বানিয়ে ফেলেছে তো কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে চমকে দিয়েছে। আবার মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছে কোনও কিশোর। এককথায় স্কুল আর মাঠে গিয়ে খেলাধুলোর সময়টা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে এরা। ঠিক তেমনই দীর্ঘদিন বাড়ি বসে অগ্নীশেরও ইচ্ছে হয়েছিল নতুন কিছু করতে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। বাড়িতে পুজো সরস্বতীর মূর্তি জলে ভিজে মাটির ডেলায় পরিণত হয়েছিল। তা দিয়েই দুর্গা (Durga Puja) প্রতিমা তৈরি করতে শুরু করে পাঠভবন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আরও একটি মূর্তি বানায় কাগজ দিয়ে। নিপুনভাবেই সিংহ থেকে অসুর- সবই ফুটিয়ে তুলেছে সে। খুদে হাতের কামাল দেখলে অবাক হতে হয় বই কী।

[আরও পড়ুন: ঐতিহ্য রক্ষাই শেষ কথা, করোনা কালেও কমছে না চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর উচ্চতা]

হঠাৎ লকডাউনে দুর্গা ঠাকুর বানানোর ইচ্ছে হল কেন? অগ্নীশের মা সর্বাণী সাহা বলছিলেন, “আসলে ছোট থেকেই বাবাকে দেখে ওর মূর্তি গড়ার শখ। সেই তিন-চার বছর বয়স থেকেই ছোটখাটো প্রতিমা বানিয়েছে। কখনও মা কালী, কখনও গণেশ। তবে প্রথমবার দুর্গা বানাল।” ছেলের কাজ দেখে গর্বিত মা বলে চলেন, “আঁকতেও দারুণ ভালবাসে অগ্নীশ। অনেক প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেয়। তবে এবার চাই ওর মূর্তিও মানুষ দেখুক। ওর হাতের কাজ ভাল শিল্পীদের চোখে পড়ুক।”

বাবা লোকনাথ সাহা থিম আর্টিস্ট। ছেলের তৈরি কালী মূর্তি একবার স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নিজের তৈরি প্রতিমার পাশে রেখেছিলেন অগ্নীশের ছোট্ট সৃষ্টিও। যা প্রশংসা কুড়িয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। এবার কি অগ্নীশের মূর্তি জায়গা পাবে কোনও মণ্ডপে? সেসব নিয়ে চিন্তিত নয় খুদে। বরং প্রতিমার গায়ে রং লাগানোর কাজ সারতেই ব্যস্ত সে।

ভিডিও পিন্টু প্রধান:

[আরও পড়ুন: শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে বাংলাদেশের দুর্গাপুজো, ভারচুয়াল পুজো পরিক্রমা এবার এক ক্লিকেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement