সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী দিবসের প্রাক্কালে শহরে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার এক ঋতুমতী। অভিযোগ, ওই অবস্থায় শৌচালয় ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। মিনার প্রেক্ষাগৃহের এক মহিলা সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শ্যামপুকুর থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলার স্বামী। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই প্রেক্ষাগৃহের ম্যানেজারকে থানায় ডেকে জেরা করা হয়। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধের শোয় স্বামীর সঙ্গে হাতিবাগানের মিনার প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সিনেমা চলার মাঝে বিরতিতে শৌচালয়ে যান তিনি। অভিযোগ, ঋতুস্রাব চলছে সেকথা শুনে মহিলা সাফাইকর্মী শৌচালয়ে ঢুকতে বাধা দেয় তাঁকে। কেন একজন মহিলা ঋতুমতী অবস্থায় প্রেক্ষাগৃহের শৌচালয় ব্যবহার করতে পারবেন না, সেই প্রশ্ন করেন ওই মহিলা। বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায় দু’জনের। প্রেক্ষাগৃহের বাইরের অন্য কোনও শৌচালয় ব্যবহারের পরামর্শ দেয় সাফাইকর্মী। মহিলার আরও অভিযোগ, সেই সময় শৌচালয়ের আশেপাশে থাকা অন্য কোনও মহিলাকে তিনি পাশে পাননি। পরিবর্তে তাঁরাও ওই মহিলাকে বিভিন্ন কটূক্তি করেন বলেই অভিযোগ। রাগে, অপমানে সিনেমার বিরতি চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে যান। স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান তিনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ওই মহিলা।
[আরও পড়ুন: ‘চুমু খাবেন না’, করোনা সচেতনতায় নির্দেশিকা কলকাতা মেট্রোর]
এরপর শনিবার সকালে ওই মহিলার স্বামী ঠিক করেন পুলিশের দ্বারস্থ হবেন। সেই অনুযায়ী শ্যামপুকুর থানায় যান। ওই প্রেক্ষাগৃহের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয় শ্যামপুকুর থানা। জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ওই প্রেক্ষাগৃহের ম্যানেজারকে থানায় তলব করে। ম্যানেজার তড়িঘড়ি থানায় পৌঁছন। তাঁকে জেরা করা হয়। যদিও ম্যানেজারের দাবি, “সাফাইকর্মী কোনও দর্শককে অপমান করেছেন তা আমার জানা ছিল না। আমাকে কেউই এ ঘটনাটি জানায়নি।” ম্যানেজারের দাবি সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মিনার সিনেমা হলের ম্যানেজার। সমাজ এগিয়েছে। যুগ বদলেছে। তা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষের চিন্তাধারা যে আজও একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা আরও একবার যেন সেই অন্ধকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
The post খাস কলকাতায় ঋতুমতীকে সিনেমা হলের শৌচালয় ব্যবহারে বাধা, পুলিশের দ্বারস্থ মহিলার স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.