অভিরূপ দাস: দেশের অন্যান্য রাজ্যে পার্কিং ফি কত, তার সমীক্ষা শুরু করছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Corporation)। সে সমীক্ষা শেষে তুলনামূলক তথ্য নিয়ে পুরকর্তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
দেশের বৃহত্তম শহরের মধ্যে পড়ে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কোচি। সেখানে রাস্তার পরিমাণ কলকাতার তুলনায় অনেকটাই বেশি। সওয়া এক কোটি মোটরগাড়ি চলে দিল্লিতে। কলকাতায় নিজস্ব গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার। অন্যান্য শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তিলোত্তমার বেসরকারি গাড়ির সংখ্যা। অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় ফাঁকা জায়গা অনেকটাই কম। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কথায়, কলকাতায় মাত্র ৭ শতাংশ এলাকা খালি রয়েছে। সেখানে রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি রাখা হলে হ্রাস পায় চলমান গাড়ির গতি। যা বাড়িয়ে তোলে পরিবেশ দূষণ। সম্প্রতি পার্কিং ফি বৃদ্ধি করেও সাধারণের কথা ভেবে পুরনো রেটই জারি রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যাভিষেক ভেবেছেন মোদি’, কটাক্ষ রাহুলের, ‘ভাগ্যিস যাইনি’, সংসদ উদ্বোধনে তোপ পওয়ারেরও]
গত এক বছর ধরে পুরসভায় একাধিকবার বৈঠক হয়েছে পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত গত ১ এপ্রিল থেকে নতুন পার্কিং রেট কার্যকর হয়। নতুন হারে এই পার্কিং ফি আদায় নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। স্বভাবতই ফের পুরনো পার্কিং রেটই বজায় রাখে পুরসভা।
কী সেই পুরনো হার? এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভা এলাকায় চার চাকা গাড়ি রাখার জন্য ঘণ্টায় ১০ টাকা করে দিতে হয়। মোটরবাইক, স্কুটার রাখার জন্য দিতে হয় প্রতি ঘণ্টায় ৫ টাকা। বাস এবং অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি রাখার জন্য এই রেট ঘণ্টা পিছু ২০ টাকা।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদের উদ্বোধনের দিনই ভূলুণ্ঠিত দেশের গর্ব, এই কি প্রাপ্য ছিল সাক্ষী-ভিনেশদের?]
সূত্রের খবর, মুম্বইতে এই রেট অনেকটাই বেশি। বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের স্রেফ জেকব সার্কেলে সম্প্রতি পার্কিং ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে চারচাকা গাড়ি রাখতে প্রতি ঘণ্টায় নেওয়া হচ্ছে ৭০ টাকা। একই ভাবে গোয়ার পার্কিং ফি-ও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। গোয়ার এই মুহূর্তে দু’ঘণ্টা দু’চাকা গাড়ি রাখার খরচ ২০ টাকা। চার চাকা গাড়ি টানা দু’ঘণ্টা পার্কিং করতে খরচ হয় ৮৫ টাকা। বাস কিংবা অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে তা ১০০ টাকা। আমেদাবাদে মাত্র আধঘণ্টা দু’চাকা গাড়ি রাখার খরচ ৫০ টাকা! দেখা যাচ্ছে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় পার্কিং ফি অনেকটাই কম।
[আরও পড়ুন: DA আন্দোলনের পালটা? মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় সভা তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের]
প্রতিটি রাজ্যের ঘণ্টাপিছু এই গাড়ি রাখার খরচই এবার খতিয়ে দেখছে পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অন্যান্য রাজ্যে পার্কিং ফি কত তার একটা সমীক্ষা চলছে। সেটা শেষ হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব। রাজ্য সবুজ সংকেত দিলে আবার আমরা পার্কিংয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও নতুন রেট তৈরি করা হবে না বলেই জানিয়েছেন মেয়র।