অর্ণব আইচ: বড় রাস্তায় পুলিশ থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই অপরিসর রাস্তা বা অলিগলিতে দেখতে পাওয়া যায় না পুলিশকে। সেই সুযোগে ভিতরের রাস্তাগুলিতে যাতে কেউ অপরাধ সংঘটিত না করতে পারে, তার জন্য এবার থেকে কলকাতার অলিগলিতেও নজরদারি বাড়ানোর জন্য প্রত্যেকটি থানাকে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)।
শনিবার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্তা, প্রত্যেকটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার। তাঁর নির্দেশ, অপরিসর রাস্তাগুলিতে পায়ে হেঁটে ও বাইকে টহলদারি বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক থানায় ব্যাটারি চালিত সাইকেল শুরু করেছে টহলদারি। শহরের প্রত্যেকটি থানায় পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি চালিত সাইকেল নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে।
শহরবাসীদের সুবিধার জন্য থানাগুলিতে মামলা যাতে তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হয়, সেই ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কারণ, এক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক যদি অন্য থানা অথবা বিভাগে বদলি হয়ে যান, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেই আধিকারিক পুরনো থানায় এসে নতুন তদন্তকারী আধিকারিককে কেস ডায়েরি হাতবদল করেন না। এই ব্যাপারে নজর রাখার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, লিভ ইন সঙ্গী বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই উদ্ধার দেহ]
চলতি মাসেই পথ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনা কমানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিক গার্ড গুলিকে দ্রুত স্ট্র্যাটেজি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই লালবাজারের কাছে পুলিশ ব্যারাক থেকে জানালা ভেঙে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। লালবাজারের নির্দেশ, প্রত্যেকটি থানা ও ব্যারাকের বাড়ি দেখভাল করতে হবে ও মেরামতির দিকে রাখতে হবে নজর। মদ্যপ গাড়ি ও বাইক চালকদের ধরপাকড় ও সাময়িকভাবে লাইসেন্স সাসপেন্ড করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে।
পুর আইনভঙ্গকারী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আদালতে পাঠাতে হবে চেকলিস্ট। প্রত্যেকটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও সংগ্রহ করে তথ্য, প্রমাণ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার হলেই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান চালিয়ে সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। সামনেই রথযাত্রায় যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে, তার উপর থানার ওসিদের নজর রাখতে বলেছে লালবাজার।