সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই জেরার পরই বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে সরছেন রাজীব কুমার। তাঁর পরিবর্তে ওই পদে আসছেন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। রাজীব কুমারকে পাঠানো হচ্ছে গোয়েন্দা দপ্তরে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এডিজি পদে যাচ্ছেন রাজীব কুমার।এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে আনা হতে পারে সিদ্ধানাথ গুপ্তাকে। সিবিআই জেরার পর থেকেই রাজীব কুমারকে সরানোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে, সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়তে চলেছে। এই রদবদলকে রুটিন বদলি বলে দাবি করছে পুলিশ মহল। যদিও, সিবিআই জেরার পরই এই বদলি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
[ভারতীয় সেনার বড়সড় সাফল্য, নিকেশ পুলওয়ামার মূল চক্রী কামরান]
২০১৬-র ৩০ জানুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে দায়িত্ব নেন রাজীব কুমার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবেই পরিচিত অত্যন্ত দক্ষ এই আইপিএস। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে তাঁর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। তবে, ভোটের ঠিক আগের এই রদবদলের কারণ নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। রুটিন বদলি বলা হলেও এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মত একাংশের।
[পুলওয়ামায় রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, মেজর-সহ শহিদ ৪ জওয়ান]
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার পরই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলিকে যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ দিন পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধরনা প্রত্যাহার করেন তৃণমূল নেত্রী। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে জানিয়ে দেয় রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে, তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।এরপর সিবিআই-এর শিলং দপ্তরে গিয়ে হাজিরাও দেন রাজীব।টানা ৫ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজীব কুমার-সহ রাজ্য প্রশাসনের পাঁচ শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে হলফনামা দেওয়ার কথা রাজীব কুমারের। তার আগেই এই বদলির সিদ্ধান্ত।