সুব্রত বিশ্বাস: কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মৈত্রী এক্সপ্রেস। আগামী ৩০ জুলাই চাকা গড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্তও বদল করল ভারতীয় রেল। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাওয়া বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত মৈত্রী এক্সপ্রেস না চালানোর সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল দাবিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তাল ঢাকা! সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে এলাকা। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০০। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৭ জুলাই থেকে বন্ধ মৈত্রী এক্সপ্রেস। কলকাতা বা ঢাকা কোনও দেশ থেকেই চালানো হচ্ছে না এই ট্রেনটি। এদিকে বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে কলকাতা আসেন। ফলে তাঁদের জন্য এই ট্রেনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবদিক মাথায় রেখে ঢাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় আগামী মঙ্গলবার থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় রেল। কিন্তু দুদিন আগেই সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা ঘোষণা করা হল।
[আরও পড়ুন; ‘প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় অ্যাথলিটদের উৎসাহিত করুন’, ‘মন কি বাত’-এ আর্জি মোদির]
পাশাপাশি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা শহরের সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তবে কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারগুলো থেকেই টাকা দেওয়া হবে। কেউ যদি টিকিট হারিয়ে ফেলে থাকেন সেক্ষেত্রে টাকা ফেরত হবে না। বিদেশি যাত্রীদের প্যাসেঞ্জার রিজ়ার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর কাজের সময় টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করা হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফে।