নব্যেন্দু হাজরা: বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষে যেমন সব ভিড় এসে মেশে সাহেবপাড়ায়, তেমনই পুজোর দিনগুলোয় এই পাড়া থাকে বেশ ফাঁকা। কারণ এই চত্বরে তেমন কোনও বড় পুজো হয় না। ভিড় থাকে তিলোত্তমার বাকি অংশে। অলিতে গলিতে। তবে ঠাকুর বা প্যান্ডেল না দেখে যদি শুধু আলো দেখতে হয়, তবে এবার আসতেই পারেন পার্ক স্ট্রিটে।
নেটের উপর এলইডি দেওয়া আলোয় এবার পুজোয় (Kolkata Durga Puja 2023) সাজবে পার্ক স্ট্রিট। চন্দননগরের আলোয় সাহেবপাড়া হয়ে উঠবে আলো ঝলমলে। মহালয়ার পর থেকেই জ্বলে উঠবে আলো। থাকবে ছটপুজো পর্যন্ত। পার্ক স্ট্রিট মোড় থেকে পুলিশ কমিশনারের বাংলো পর্যন্ত হবে বড় বড় দশটা গেট। মা দুর্গার মুখ। সেই সঙ্গে ঢাক, কুলো, চালুনি, ডাব, নৈবেদ্যর মতো পুজোর উপকরণগুলোই আলোর থিমে ওই গেটে ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে এবারের বৈচিত্র নেটের উপর এলইডির খেলা।
[আরও পড়ুন: ফের ডেঙ্গু মৃত্যু কলকাতায়, আবারও প্রাণ গেল দক্ষিণ দমদম এলাকার বাসিন্দার]
তবে শুধু পার্ক স্ট্রিট (Park Street) নয়, এই আলোয় এবার সাজানো হবে ইকোপার্কের সামনে থেকে চিংড়িঘাটা। পাঁচটা বড় গেট হবে এখানেও। এখানকার আলোও আসছে চন্দননগর থেকে। পার্ক স্ট্রিট আলোয় সাজাবে কলকাতা পুরসভা। আর ইকোপার্কের অংশ সাজাবে হিডকো। পার্ক স্ট্রিটের রাস্তার পাশাপাশি সাজানো হবে অ্যালেন পার্কও। আলোর শহর চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দম ফেলার সুযোগ নেই তাঁদের। চন্দননগরের পালপাড়া, বিদ্যালঙ্কার চত্বরে একের পর এক কারখানায় চলছে কাজ। বিভিন্ন রকমের থিম তৈরি হচ্ছে সেখানে। তাতে যেমন আছে চন্দ্রযান তেমনই আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংও। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সব আলো রওনা হয়ে যাবে কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের উদ্দেশে। সেখানে এনে সেটিং করতেও সময় লাগবে। তাই এখন চলছে ফিনিশিংয়ের কাজ। সব ঠিকঠাক জ্বলছে কি না তা দেখে নেওয়ার পালা।
আলোকশিল্পী জয়ন্ত দাসের আলোয় সাজবে পার্ক স্ট্রিট। তিনি বলেন, ‘‘অন্যরকমের আলো করা হচ্ছে। মানুষ আলো দেখার জন্য এবার পুজোতে সাহেবপাড়ায় আসবেন। বড়দিনে তো মানুষ এই রাস্তায় আলো দেখেনই। এবার পুজোর আলোতেও নতুনত্ব দেখা যাবে।’’ প্রতি বছরই চন্দননগরের শিল্পীরা আলোর জাদুতে সাধারণ মানুষকে চমকে দেন। এখানকার আলো দেশের গন্ডি পার করে বিদেশেও যায়। এবারও তার অন্যথা নয়। তবে এখন এই শহরের সবথেকে ব্যস্ততা পুজোর আগে বিভিন্ন জায়গায় আলো পাঠানোর।