shono
Advertisement

Breaking News

এটিএম না ভেঙেই কীভাবে লক্ষাধিক টাকা চুরি জালিয়াতদের? ফাঁস রহস্য

কী জানালেন লালবাজারের গোয়েন্দারা?
Posted: 08:41 PM May 30, 2021Updated: 09:03 PM May 30, 2021

অর্ণব আইচ: শহর কলকাতায় (Kolkata) ফের সক্রিয় এটিএম জালিয়াতি চক্র। এটিএম মেশিন অটুট, কোথাও কোনও আঁচড়ের দাগ নেই। অথচ এটিএম যন্ত্রের ভিতর থেকে রহস্যজনকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও। সম্প্রতি কাশীপুর, নিউমার্কেট, যাদবপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছিল। শনিবারই সামনে এসেছিল সেই খবর। কীভাবে চুরি? এরপরই তদন্তে নামেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। আর তাতেই হাতে এল চমকপ্রদ তথ্য। আসলে গোটা ঘটনার পিছনেই রয়েছে উন্নততর প্রযুক্তি। একধরনের গ্যাজেটের সাহায্যেই এটিএম মেশিন না ভেঙেই লক্ষ লক্ষ টাকা বের করে নিয়েছে জালিয়াতরা।

Advertisement

প্রাথমিক সন্দেহে গোয়েন্দাদের অনুমান, কাউন্টারে ঢুকেই প্রথমে এটিএমের ‘হুড’ বা উপরের আবরণ খুলে নিচ্ছে জালিয়াতরা, যা একমাত্র বিশেষজ্ঞরাই পারেন। এরপর এটিএমের কম্পিউটারের পিছন দিকে থাকা ‘কেবলে’ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি ডিভাইস বা ‘সংক্রামিত ইউএসবি ড্রাইভ’। এই কেবলটিই মেশিনের সঙ্গে ব্যাংকের সার্ভারকে যুক্ত করে। এরপর ওই ড্রাইভ বসানোর পর ল্যাপটপের সাহায্যেও করা যেতে পারে জালিয়াতি। ডিভাইস বা ড্রাইভের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার, যা আসলে ‘ম্যালওয়্যার’ তা এটিএমের কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ‘রিবুট’ হচ্ছে এটিএমের কম্পিউটার। গোয়েন্দাদের পরিভাষায়, এই ম্যালওয়্যারটিকে বলা হয় ‘ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক’। কারণ এর সাহায্যেই এটিএমের সঙ্গে ব্যাংকের সার্ভার বা সুইচের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে এটিএমটির ‘মস্তিষ্কে’র দখল নিচ্ছে জালিয়াতরা। অর্থাৎ যে রাস্তা ধরে ব্যাঙ্কের সার্ভারের কাছ থেকে এটিএম ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ পদ্ধতিতে যোগাযোগ করে বা নির্দেশ নেয়, সেই রাস্তাটিই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: সব সোনার গয়নায় হলমার্কে সমস্যায় পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় কেন্দ্রকে চিঠি]

এরপর ওই ম্যালওয়ারের মাধ্যমে এটিএম পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে জালিয়াতরা। গোয়েন্দাদের ধারণা, এটিএম থেকে টাকা তুলতে এই ম্যালওয়্যারই একটি ‘কোড’ তৈরি করছে, যা এটিএমে থাকা জালিয়াত তার গ্যাংয়ের অন্যদের কাছে পাঠাচ্ছে। ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই ‘কোড’টিকে ‘পিন’ বা পাসওয়ার্ডে পরিবর্তন করছে। এরপর সেই বিশেষ ‘পিন’ বা পাসওয়ার্ড এটিএমের কম্পিউটারে প্রয়োগ করলেই বেরিয়ে আসছে টাকা। 

এর আগে দিল্লিতেও একইভাবে এটিএম জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছিল। গোয়েন্দারা সেই বিষয়টিও মাথায় রাখছেন। তবে এই ঘটনায় যে সংস্থা এটিএম মেশিনগুলির দায়িত্বে তাদেরও কিছুটা দায় বর্তাচ্ছে। যে ব্যাংকের ওই এটিএম, সেই বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংস্থাকে বারংবার এটিএম মেশিনগুলি পরিবর্তন করতে বললেও, তা শোনা হয়নি। পাশাপাশি চলতি মাসের ১৪ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে ঘটনাগুলি ঘটলেও বেশ কয়েকদিন পর অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: ভুল বললে বাড়তে পারে জটিলতা, আলাপন ইস্যুতে রাজ্য নেতাদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement