নব্যেন্দু হাজরা: পেট্রেপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ। পরিবেশবান্ধব (Eco friendly) বাস চালু হল কলকাতায়। ডিজেলচালিত বাস প্রথমবার সিএনজিতে চলবে শহরে। সোমবার পরিবহণ ভবনে প্রথম সিএনজি চালিত বাসটির উদ্বোধন করে নিজেই তা চালিয়ে নিয়ে গেলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শহরের মহানাগরিক তথা পরিবহণ মন্ত্রীকে এই ভূমিকায় দেখে উচ্ছ্বসিত পরিবহণ দপ্তরের কর্মীরা।
কলকাতা তথা রাজ্যের নাগরিক পরিষেবা, প্রশাসনিক কাজের অনেক ভার তাঁর উপর। জনপ্রিয়তার নিরিখেও তাঁর নাম উপরের দিকেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সেনাপতি। সংকটের সময় তাঁকে নানা ভূমিকায় দেখেছেন শহরবাসী। এবার দেখলেন আরও এক ভূমিকায়। তবে এবার স্রেফ পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে বাসের স্টিয়ারিং ধরলেন পরিবহণ মন্ত্রী। সোমবার কলকাতায় প্রথম সিএনজি (CNG Bus) চালিত বাসের উদ্বোধন করতে দিয়ে নিজেই বাস চালালেন পরিবহণ মন্ত্রী।
[আরও পডুন: বিকৃত করা অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে চিকিৎসককে ব্ল্যাকমেল! টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ২]
এদিন দুপুরে কসবার পরিবহণ ভবন থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম রুবি মোড় থেকে বাস ঘুরিয়ে ফের পরিবহণ ভবনে ফিরিয়ে আনলেন সিএনজি বাস। এভাবেই উদ্বোধন হলো সরকারের পরিবহণ দপ্তরের প্রথম সিএনজি বাসের। জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে কলকাতার রাস্তায় আপাতত ২ মাস চলবে দুটি সিএনজি বাস। পরীক্ষা সফল হলে ৭০০ সরকারি বাসকে কয়েক মাসের মধ্যেই ডিজেল থেকে সিএনজি-তে বদলে ফেলা হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে রাস্তায় নামানো হচ্ছে জৈব জ্বালানিতে চলা দুটি বাস। সোমবার এই বাস দুটিরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পডুন: ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই হামলা হয়েছে’, SSKM-এ সুদীপ-জয়াকে দেখে শাহকে আক্রমণ Mamata’র]
ফিরহাদ পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্বে আসার পর বিকল্প পদ্ধতিতে জৈব জ্বালানি দিয়ে বাস চালানোর এই পরীক্ষা শুরু করেন। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। WBTC-র পরিত্যক্ত দুটি বাসকে পরীক্ষামূলকভাবে সিএনজি জ্বালানিতে চালানো হচ্ছে। ফিরহাদের বক্তব্য, “এখন কলকাতাতেই সিএনজি বাস চালু হল। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎচালিত এবং সিএনজি চালিত বাসের সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে বাস চালানোর খরচও কমবে, পরিবেশ থাকবে দূষণমুক্ত।” নির্মাতাদের দাবি, এই বাস চলার ফলে কমবে টিকিটের দাম। ডিজেলে চলা বাসের এক কিলোমিটার যেতে জ্বালানি খরচ ৩৬ টাকা। সিএনজিতে চলা বাসের ক্ষেত্রে তা দাঁড়াবে মাত্র ১৩ টাকায়। সেইসঙ্গে পরিবেশ দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ হবে।