অভিরূপ দাস: বেআইনি ফ্ল্যাট উঠছে পাড়ায় পাড়ায়। ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ জমা পড়ছে কলকাতা পুরসভায়। যাচাই করতে গিয়ে মাথায় হাত। খবরই নেই পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাছে। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বিষয় নিষ্পত্তি হচ্ছে স্থানীয় স্তরে। বরো ইঞ্জিনিয়ার কিংবা এলবিএস টাকা নিয়ে অবৈধ প্ল্যান পাশ করে দিচ্ছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় তিনি জানিয়েছেন, বরো ইঞ্জিনিয়ার টাকা নিয়ে প্ল্যান পাশ করছেন। আর বদনাম নিতে হচ্ছে কাউন্সিলরকে। কাউন্সিলরের হাতে প্ল্যান নেই। খালি চোখে দেখে বোঝারও উপায় নেই কোনটা বৈধ কোনটা অবৈধ। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) ফোন করেন বেহালার বাসিন্দা সোমেন মিত্র। ফ্ল্যাট কিনেও সিসি পাননি। রিভাইসড প্ল্যানও জমা দেয়নি তাঁর প্রোমোটার। কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরোল কেউটে। আদতে প্ল্যানে যা দেখিয়েছে কাজ হয়েছে তার উলটো!
[আরও পড়ুন: ধরমশালা থেকে সরতে পারে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট, আচমকা কেন অনিশ্চয়তা?]
ফ্ল্যাটের নিচের গ্যারেজ এলাকাতেও ফ্ল্যাট তুলে দিয়েছেন ‘গুণধর’ প্রোমোটার। অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ মেয়র। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে বলেন, ‘‘ঘটনার খোঁজখবর নিন। দ্রুত এলবিএসকে ডাকুন।’’ নিয়ম অনুযায়ী প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব লোকাল বিল্ডিং সার্ভেয়রের। বেআইনি নির্মাণ উঠলেও খবর আসেনি কেন বিল্ডিং বিভাগের ডিজির কাছে? মেয়রের কথায়, ‘‘প্ল্যানে গ্যারেজ স্পেস দেখিয়ে পরে সেটাকে ফ্ল্যাট, দোকান বানিয়ে দিচ্ছেন প্রোমোটার। বরো ইঞ্জিনিয়ার কেন তা খতিয়ে দেখল না? সে কি প্রোমোটারের কাছ থেকে টাকা খেয়েছে? অবিলম্বে বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করুন।’’ মেয়র জানিয়েছেন, সিসি ছাড়া বহু ফ্ল্যাট কেনা-বেচা হচ্ছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড থেকেও ফোন আছে মেয়রের কাছে। ৪ নম্বর কাশীনাথ দত্ত রোডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘এলাকায় একটা নতুন বিল্ডিং উঠছে। কিন্তুটা যতটা ছাড় দেওয়ার কথা ততটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’’ মেয়র জানিয়েছেন, দ্রুত সেখানে পরিদর্শনে যাওয়া হবে। ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, এলাকায় অবৈধ নির্মাণ উঠলে এলবিএস, বরো ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আগে খবর আসে। সেই অভিযোগ কেন বিল্ডিং বিভাগের ডিজি পর্যন্ত আসছে না। বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে তিনি অনুরোধ করেন, ‘‘ছাড় দেবেন না। তলার লোকেরা যদি কথা না শোনে তাদের শায়েস্তা করার ক্ষমতা যে ডিজির হাতে রয়েছে সেটা প্রমাণ করার সময় এসেছে।’’