অভিরূপ দাস: ফের শহরের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। মৃত রঞ্জিত সাউ (৫২) দক্ষিণ কলকাতার তপসিয়ার (Tapsia) বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই লিভারের ক্যানসারে (Liver cancer) ভুগছিলেন ছিলেন তিনি। লকডাউনে (Lockdown) তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
গত ১২ আগস্ট থেকে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে ভরতি ছিলেন রঞ্জিতবাবু। আচমকাই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ২০ আগস্ট লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলে রঞ্জিতবাবুর করোনা ধরা পরে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেকটাই নেমে গিয়েছিল। দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার অন্যতম কোভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। শ্বাসকষ্ট উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে রঞ্জিতবাবুর। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন অবিলম্বে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে দিতে হবে। সেটা ২৩ আগস্ট। রঞ্জিতবাবুর পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে যতবার ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়, হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয় সিসিইউ বেড খালি নেই। রোগীর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্স করে বাইরে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকির ছিল।
[আরও পড়ুন:সর্বস্তরে শিক্ষা পৌঁছে দিতে পরিশ্রম, শিক্ষারত্নের জন্য মনোনীত দুর্গাপুরের সেই শিক্ষক কাজী নিজামউদ্দিন]
রঞ্জিরবাবুর আত্মীয়া পূর্ণিমা সাউ জানিয়েছেন, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বেড পাওয়ার জন্য হাসপাতালের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বেড না মেলায় সোমবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় রঞ্জিতবাবুর। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পরে পরিবার। হাসপাতালের সুপার ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে পরিবার জানিয়েছে, বেড না পাওয়ায় টানা ছ’দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়েই মারা যেতে হল রোগীকে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে আশ্বাস দিয়েছেন সুপার। এই প্রথম নয়, করোনা আবহে এর আগেও তিন হাসপাতালে ঘুরে বেড না পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবকের। ঘটনায় সাগরদত্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিল যুবকের পরিবার।
[আরও পড়ুন:রাজ্যে ‘ওপেন বুক এক্সামে’ সিলমোহর, বাড়িতে বসে বই দেখেই পরীক্ষা কলেজ পড়ুয়াদের]
The post বেড না মেলায় করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ appeared first on Sangbad Pratidin.