নব্যেন্দু হাজরা: বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে এবার মেট্রোতেও (Kolkata Metro) উঠছেন টিকিট পরীক্ষক। ধরাও পড়ছেন একের পর এক। বেশিরভাগই তাঁদের মধ্যে কম দূরত্বের ভাড়ার টোকেন নিয়ে বেশি দূরত্ব যাত্রা করছেন।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর মরসুমে নিত্যযাত্রীর তুলনায় সাধারণ যাত্রীদের ভিড় বাড়ে পাতাল পথে। কেনাকাটা থেকে পুজোর দিনগুলোয় ঠাকুর দেখা প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। বিশেষত, দল বেঁধে বহু মানুষ বেরন। আর তাঁদের মধ্যেই দেখা যায় টিকিট ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ২৬ জন কম ভাড়ার টোকেনে বেশি দূরত্ব যাওয়ার যাত্রী ধরা পড়েছেন। এছাড়া বিনা টিকিটের যাত্রীও রয়েছেন। জরিমানা বাবদ এই যাত্রীদের থেকে ৬ হাজার ৬৪৫ টাকা আয় হয়েছে মেট্রোর। নিয়ম অনুযায়ী, ২৫০ টাকা জরিমানা ছাড়াও ওই নির্দিষ্ট দূরত্বের ভাড়াও তাঁকে জরিমানা দিতে হয়। এছাড়া পানের পিক ফেলা, স্টেশন চত্বর নোংরা করা, থুতু ফেলার অভিযোগে ৮০ জনকে ধরা হয়েছে। তাঁদের থেকে জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে মেট্রোর। সামনেই উৎসবের মরসুম। এই দিনগুলোয় তাই বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে টিকিট পরীক্ষকরা স্টেশনে এবং মেট্রোয় ঘুরে বেড়াবেন বলেই জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কার মাঝেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্কবার্তা হড়পা বানেরও]
মেট্রোর দাবি, টোকেন বা স্মার্ট কার্ডের কোনওটিই নেই, এমন যাত্রী বিরল। বরং অল্প দূরত্বের টোকেন কেটে তা দিয়ে বেশি দূরত্ব সফর করার প্রবণতা যাত্রীদের একাংশের মধ্যে বেশি। প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে ধরা পড়ে জরিমানা দিতে হয় তাঁদের অনেককে। এ সব ক্ষেত্রে অনেক যাত্রী ‘ভুলের’ জন্য দায় চাপান কাউন্টারের কর্মীর উপরে। বলেন, তিনি ভাড়া ঠিক দিলেও ওই মেট্রোর কর্মী তাঁকে কম ভাড়ার টোকেন দিয়েছেন। তবে কাউন্টারের কর্মীদের একাংশের ভুলের ঘটনাও বিরল নয়।
টিকিটের বিষয়টি যাত্রীর নিজে দেখে নেওয়া নিশ্চিত করতে বছর কয়েক আগে কাউন্টারে ভিডিও স্ক্রিন বসানো হয়। সেখানে টোকেন বা স্মার্ট কার্ড কেনার সময়ে মূল্যের অঙ্ক ফুটে ওঠে। এর পরেও অবশ্য উপযুক্ত মূল্যের টোকেন না কিনে সফর করা যাত্রী প্রতিদিনই কিছু না কিছু পাওয়া যায়। মেট্রো আধিকারিকদের দাবি, ভিড়ের সময়ে টোকেন ছুঁইয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের স্মার্ট গেট খোলার সময়ে এক জন যাত্রীর গা ঘেঁষে (টেল গেটিং) অন্য যাত্রী পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গেটে কর্তব্যরত কর্মীরা সে ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেন। তাঁদের চোখ এড়িয়ে ঢুকলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরতে গিয়ে ধরা পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।