কৃষ্ণকুমার দাস: কোভিড সংক্রমণে ফের কলকাতা (Kolkata) শীর্ষে উঠে এলেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে শহরের বাসিন্দাদের প্রবল অনীহায় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তর। টিকার প্রথম ডোজ নিতে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার শহরের প্রতিটি হেলথ সেন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। সেখানে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য পুরসভার ধার্য করা নির্দিষ্ট দিন অর্থাৎ সোম, বুধ ও শুক্রবার সেন্টারের টিকাকর্মীরা বসে বসে মাছি তাড়াচ্ছেন। ‘একদিন অন্তর একদিন’ হিসাবে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) টিকাদানের কর্মসূচি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তার উপর শুক্রবার মহরমের ছুটির কারণে পুরসভার টিকাকরণ বন্ধ। তাই সোমবার থেকে সপ্তাহে ছ’দিনই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে শীর্ষ পুরকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল, ইতিমধ্যে কলকাতায় প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। টিকাগ্রহণে অনীহার জেরে দ্বিতীয় ডোজের দিন টিকাকেন্দ্র থেকে পুরসভায় ফেরত আসছে টিকার সিরিঞ্জ ও ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: SSKM-এ সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, প্রতি সপ্তাহে নজরদারির জন্য যাবেন, জানালেন Mamata]
অথচ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে মাত্র ৪৯ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। অঙ্কের হিসাবে অধিকাংশ শহরবাসী টিকা নিলেও এই ৪৯ লক্ষের একটা অংশ জেলার বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছেন পুরকর্তারা। এদিন স্বাস্থ্য দপ্তর নয়া সংক্রমণের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ফের শীর্ষে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জন কলকাতায় সংক্রমিত হলেও কোনও মৃত্যু নেই। একদিকে দ্বিতীয় ডোজে আগ্রহ কম অন্যদিকে ফের কলকাতায় কোভিড (Covid-19) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জানান, “একদিন অন্তর টিকার যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তাতে দ্বিতীয় ডোজের উপস্থিতির হার কম হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফের সকালে প্রথম ডোজ, বিকালে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হতে পারে।” বিষয়টি নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যপ্রশাসক। শনিবার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার থেকে পুরনো সূচি মেনে টিকাদানের ঘোষণা করবেন ফিরহাদ।