অর্ণব আইচ: পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) ঠিক আগে সন্ধ্যায় শহরে উদ্ধার অস্ত্র। তারাতলার জিঞ্জিরা বাজারের কাছে সেভেন এমএম (7MM) পিস্তল-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের (Kolkta Police) গোয়েন্দা শাখা। কী উদ্দেশে ভোটের আগের সন্ধেবেলা তারা কলকাতায় ঢুকছিলেন, অস্ত্র (Arms) কোথায় সরবরাহ করার কথা – এসব জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।
রবিবার কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Election) ভোট। তার আগে শনিবার থেকে শহরে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। তারাতলা থানার পুলিশের সঙ্গে এদিন তল্লাশির কাজে শামিল হয়েছিল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররাও। পুলিশ সূত্রে খবর, তারাতলা এলাকা থেকে কলকাতায় ঢোকার মুখে গাড়িগুলি থামিয়ে চেকিং চলছিল। সেসময় সন্দেহজনক একটি বাইকে চড়ে তিন যুবককে যেতে দেখা যায়। পুলিশ বাইকটি থামিয়ে তা পরীক্ষা করে। একজনের পকেট থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সৌমেন মালাকার ওরফে নীল এবং নিশান চৌধুরী ওরফে গোলু। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন আনুক কেন্দ্র, দাবি জানিয়ে দেশব্যাপী কর্মসূচি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের]
ভোটের ঠিক আগের সন্ধ্যায় কোন উদ্দেশে পিস্তল নিয়ে শহরে তারা ঢুকছিল, তা জানতে তিনজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুরভোটের দিন দুই আগে থেকেই শহরের সমস্ত প্রবেশ ও প্রস্থান পথে নাকা তল্লাশি শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। কমিশনার সৌমেন মিত্র নিজেও একাধিক জায়গায় নজরদারিতে শামিল ছিলেন। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে তিনি এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক করেন। কমিশনারকে যাবতীয় তথ্য় জানান। ভোটের আগের দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে ‘জেড প্লাস’ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে যখন এতটা তৎপরতা পুলিশ মহলে, সেসময়ই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্পষ্ট, ভোটে গন্ডগোল বাধানোর ছক চলছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়েছিল মানব পাচার চক্রের পান্ডা, লস্কর যোগ খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা]
জানা গিয়েছে, ২৩,৫০০ পুলিশকর্মীর নজরদারিতে পুরভোট হবে কলকাতায়। থাকবে ৫৫০০ রাজ্য পুলিশ, কুইক রেসপন্স টিম, ১০ জন জয়েন্ট কমিশনার নজরদারি চালাবেন। সব কটি বুথে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ। আজ থেকেই চালু হয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কোনও অশান্তির খবর পেলেই এই কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানানো যাবে।