shono
Advertisement

Breaking News

কমিশনারের নির্দেশের পরই হাতে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় পুলিশ, দেওয়া হচ্ছে পথচারী-চালকদের

যাঁরা মাস্ক পরেননি, তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরও নিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। The post কমিশনারের নির্দেশের পরই হাতে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় পুলিশ, দেওয়া হচ্ছে পথচারী-চালকদের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:03 PM Jun 02, 2020Updated: 02:23 PM Jun 02, 2020

অর্ণব আইচ: পথচারী হোক কিংবা গাড়ির চালক অথবা আরোহী, প্রত্যেকের মুখেই থাকতে হবে মাস্ক। কারও মুখে যদি মাস্ক না থাকে, তবে তা দিতে হবে পুলিশকেই। পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার এই নির্দেশ পাওয়ার পরই হাতে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বার্তা পাঠিয়ে প্রত্যেক থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তিনি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ যাতে প্রত্যেকেই মেনে চলেন, সেই বিষয়টি পুলিশকে দেখতে হবে। প্রত্যেক শহরবাসী যাতে রাস্তায় মাস্ক পরে নামেন, সেই বিষয়ে পুলিশকে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ১ জুন থেকে শহরে বেড়েছে পথচারী ও গাড়ির সংখ্যা। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন ট্রাফিক গার্ড ও থানার আধিকারিকরা হাতে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় নামেন। তাঁদের নজর ছিল গাড়ির চালক ও আরোহীদের উপর। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে গাড়ির চালক বা আরোহী চলেছেন মাস্ক ছাড়াই। ট্যাক্সি অথবা গাড়ির কাচ নামিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসা করেছে, তাঁরা কেন মাস্ক পরেননি? মাস্ক যে এখন আবশ্যিক, সে বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই ট্যাক্সি বা গাড়ির চালককে মাস্ক দেন পুলিশ আধিকারিকরা। একইভাবে অটো থামিয়ে যাত্রীদের দেওয়া হয় মাস্ক। কয়েকজন পথচারী মাস্ক না পরেই হাঁটছিলেন। অনেকে আবার বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে মুখে বেঁধে নিয়েছিলেন রুমাল। তাঁদেরও মাস্ক দেয় পুলিশ। বাস টার্মিনাস ও বাসস্ট্যান্ডে এই মাস্ক অভিযান চলে পুলিশের। যে যাত্রীরা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের কারও মুখে মাস্ক না থাকলে তাঁকে তা দেওয়া হয়। যাঁরা মাস্ক পরেননি, তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরও নিয়ে নেয় পুলিশ। পরবর্তীকালে তাঁদের সতর্কবার্তা পাঠানো হতে পারে।

[আরও পড়ুন: একই দিনে সেরে উঠলেন করোনা আক্রান্ত ১৬ পুলিশকর্মী, লালবাজারকে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার]

এদিকে, রাত নটার পর গাড়ি চলাচল করলে, নাকা চেকিংয়ে সেগুলিকে ধরছে পুলিশ। রাতে চালক কেন বেরিয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। আবার মেসেজ পাঠিয়েও ওই উত্তর জানতে চাওয়া হচ্ছে চালকের কাছ থেকে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাস্তায় ছিল গাড়ির চাপ। যেহেতু শহরের কিছু অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও তাঁদের সহকর্মীরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাই রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যাও ছিল কিছুটা কম। শহরের কয়েকটি জায়গায় যানজট ও গাড়ি ধীরে চলার খবর মেলে। ট্রাফিক পুলিশকর্মী ও সার্জেন্টরা যানজট আয়ত্তে আনেন। লালবাজারের নির্দেশ মেনে পুলিশ যানবাহন দিকেও নজর রাখে। কোনও বাসে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন কি না, সেদিকেও নজর রাখা হয়। এ ছাড়াও অটোয় যাতে আরোহীর সংখ্যা দুই-এর বেশি না হয়, সেদিকেও ছিল পুলিশের কড়া নজর।

অন্যদিকে, লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় পিক বা থুতু ফেলা নিয়ে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকশো শহরবাসীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের ধারণা, এতে অনেকেরই শিক্ষা হবে। রাস্তায় যেখানে সেখানে যাতে থুতু বা পিক না ফেলা হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: বসতি এলাকায় সংক্রমণ রুখে সাফল্য, এবার বাজারে বিশেষ অভিযান কলকাতা পুরসভার]

The post কমিশনারের নির্দেশের পরই হাতে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় পুলিশ, দেওয়া হচ্ছে পথচারী-চালকদের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement