সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঁথি কাণ্ডে অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হল। আগেই মৃত ব্যবসায়ীর ভাই SI সৌমেন্দ্রনাথ দাস, অরিন্দম দাস ও সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্তির নামে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এবার তিনজনকেই ক্লোজ করল কলকাতা পুলিশ। সেইসঙ্গে শুরু হল বিভাগীয় তদন্তও। ঘটনার তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। চুরির ঘটনার তদন্ত করতে চিৎপুরের এক ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠিয়েছিল উত্তর কলকাতার সিঁথি থানার পুলিশ। থানার ভিতরে জেরা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রৌঢ় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউ। অচেতন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনাটি ঘিরে সিঁথি এলাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। অভিযোগ, প্রৌঢ়ের পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা থানায় তাণ্ডব চালান। ফুলের টব ও অন্যান্য সামগ্রী উলটে ফেলা হয়। সিঁথি থানার এসআই সৌমেন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সাউ পরিবার।
[আরও পড়ুন: চুরির তদন্তে জেরা চলাকালীন ব্যবসায়ীর মৃত্যু, থানায় ঢুকে তাণ্ডব পরিবারের]
সিঁথি থানার এই ঘটনায় মঙ্গলবারও উত্তপ্ত থাকে এলাকা। পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এদিন সিঁথি থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি। তবে অনুমতি না মেলায় শেষে বাগবাজার ঘাটে জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির সেই কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় বাগবাজারে। বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয় এলাকা। অন্যদিকে, এদিন অন ক্যামেরা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নজরদারিতে পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। হাই কোর্টের নির্দেশে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালত ও মানবাধিকার কমিশনে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বোঝা যাবে রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।
The post ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্লোজ করা হল সিঁথি থানার ৩ পুলিশ আধিকারিককে appeared first on Sangbad Pratidin.