স্টাফ রিপোর্টার: কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের নথিপত্র। সেই গোপন নথিপত্রের কাগজে মুড়ে বিকোচ্ছে জিলিপি, শিঙাড়া। লালবাজার গোয়েন্দা দপ্তর অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করে। তদন্তের কাজে এমন অনেক নথিপত্র সেখানে থাকে যা জনসমক্ষে এসে গেলে বিপজ্জনক হতে পারে। তাই কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে ডিডি (ডিটেক্টটিভ ডিপার্টমেন্ট) বিল্ডিং। নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে সেখানে মাছি গলতেও পারে না। অথচ এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে তদন্তের নথিপত্র বাইরে চলে আসছে!
কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের (Lal Bazar) বিপরীতে খাবারের দোকানে এই সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের জেরক্স কপিতে বিক্রি হচ্ছে শিঙাড়া, কচুরি, জিলিপি। দেখা যাচ্ছে, সেই সব চিঠি গোয়েন্দা বিভাগ থেকে পাঠানো হয়েছিল। কোনও চিঠি পাঠানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। কোনওটিতে রয়েছে গ্রেপ্তারি মেমো। গোয়েন্দা দপ্তরের পাঠানো এই সব চিঠিতে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলি বাইরে লোকের হাতে গেলে তার অপব্যহার হতে পারে।
[আরও পড়ুন: বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিল হোক, বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি আইনজীবীর]
সম্প্রতি একটি খাবারের দোকানে গোয়েন্দা বিভাগের চিঠিতে শিঙাড়া, জিলিপি মুড়ে দেওয়া হয়। ভাল করে দেখার পর বোঝা গেল ২০২২ সালের জুন মাসে কোনও ব্যক্তি ব্যাংক জালিয়াতির শিকার হন। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতারণা দমন শাখা গিরিশ পার্ক থানায় একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। এরপর কলকাতা পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইংয়ের এক পুলিশকর্তা ঘটনার তদন্তের জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে কিছু অ্যাকাউন্ট নম্বরের কথা উল্লেখ করে তার লেনদেনের খতিয়ান চেয়ে পাঠান।
প্রশ্ন, লালবাজার থেকে কীভাবে বান্ডিল বান্ডিল চিঠিপত্রের কপি বাইরে চলে আসছে? বিশেষ সূত্রে খবর, লালবাজার থেকেও অনেক সময় কাগজপত্র জেরক্স করানো হয়। ভুলবশত অতিরিক্ত জেরক্স হয়তো হয়ে যায় বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঠিকভাবে জেরক্স হয়নি। ওইসব উচ্ছিষ্ট জেরক্স কপি দোকানদার কেজি দরে খাবার বিক্রেতাদের বিক্রি করে দেন।