গৌতম ব্রহ্ম: মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান সম্পূর্ণ বেআইনি। ইমেল করার পরও তাদের মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্র সমাজের অন্যতম আহ্বায়কের শহরের পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। এই সাক্ষাতের দিকে নজর রয়েছে কলকাতা পুলিশেরও। জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
তিনি জানান, প্রথমে পুলিশের কাছে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। পরে সোমবার দুপুরে দুটি ইমেল আসে তাদের কাছে। একটি পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং অন্যটি সংগ্রামী যৌথমঞ্চ থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনওটিতেই অনুমতি চাওয়া হয়নি। দুই ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র কর্মসূচির কথা জানানো হয়। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম বলছে, কর্মসূচি সংক্রান্ত যে সমস্ত জরুরি তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন তাঁরা কোন পথে এগোবেন, কী কর্মসূচি, কোথায় অবস্থান করবেন, সেই সব তথ্যও দেওয়া হয়নি। তাই ছাত্র সমাজের মিছিলের ওই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার ইউজিসির নেট পরীক্ষা রয়েছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চকে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: মাঝ সমুদ্রে ডুবল কলকাতা থেকে আন্দামানগামী জাহাজ, ১১ জনকে উদ্ধার উপকূলরক্ষী বাহিনীর]
এদিকে ছাত্র সমাজের এক আহ্বায়কের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকারের দাবি, গতকাল সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে হায়াতে ছাত্র সমাজের অন্যতম আহ্বায়ককে দেখা গিয়েছিল। সেখানে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তবে কোন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ওই তথাকথিত ছাত্র নেতা সাক্ষাৎ করেছেন তা স্পষ্ট করেননি পুলিশ কর্তা। তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক তথ্যপ্রমাণ ও গোপন তথ্য কলকাতা পুলিশের কাছে আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।