অর্ণব আইচ: কলকাতায় চাকরি দেওয়ার নামে জালিয়াতির দুই পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই। সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ধৃতর বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থেকে কামারুজ্জান মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলেন পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ অফিসাররা। তার কাছ থেকে ‘সিবিআই’ স্টিকার দেওয়া গাড়িও উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে গৌতম মণ্ডল নামে এক যুবক।
[আরও পড়ুন: সংশোধিত ভোটার তালিকায় বাদ ৬ লক্ষ ভোটার, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে কমিশনের ফুল বেঞ্চ]
পুলিশ জানিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট এলাকার অভিযোগকারীর সঙ্গে কয়েক মাস আগেই পরিচয় হয় কামারুজ্জানের। ওই ব্যক্তি নিজেকে সিবিআইয়ের পদস্থ অফিসার বলে পরিচয় দেয়। সেই প্রমাণ করতে নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্রও দেখায়। তার চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলেও জানায়। অভিযোগকারীর ছেলেকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তিনি অভিযুক্তকে বিশ্বাস করেন। বেশ কয়েক দফায় চাকরির জন্য আট লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত। ওই টাকার বিনিময়েই প্রথমে চাকরি হবে বলে জানায় সে। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকেই সে তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত জাল নথিপত্র দেয়। সেই নথি জাল বুঝতে পেরে প্রতাড়িত ব্যক্তি পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে বুঝতে পারে যে, অভিযুক্ত সিবিআই অফিসারই নয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে। পুলিশ ঠিকানা জোগাড় করেও তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধান পায়নি। এরপর পুলিশ জানতে পারে যে, টাকা হাতিয়ে নিয়ে খড়দহের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে। সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে, শেক্সপিয়র সরণি থানায় এক যুবক অভিযোগ জানান, তাঁর সঙ্গে কিছুদিন আগে গৌতম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। সে অভিযোগকারীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রথমে তাঁর কাছ থেকে কয়েক দফায় ৩৮ হাজার নেয়। কৌশলে সে তাঁর কাছ থেকে এটিএম কার্ডটিও নিয়ে নেয়। জেনে নেয় পিন নম্বরও। এরপর তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ হাজার টাকা তুলে নেয় অভিযুক্ত। কিন্তু অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীকে সে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে শেক্সপিয়র থানার পুলিশ গৌতম মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলা হলে সে নিজের দোষ স্বীকার করে জানায়, সে টাকা ফেরৎ দেবে। তাকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দুই ধৃতকেই জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।