অর্ণব আইচ: ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ককে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার সেরাজ্যের এক আইনজীবীর দিকে নজর কলকাতা পুলিশের। রাঁচিতে ওই আইনজীবীর একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশে পেয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
প্রতারণার অভিযোগে রবিবার রাতে কলকাতার (Kolkata) এক শপিং মল থেকে রাজীব কুমার নামের ওই আইনজীবী গ্রেপ্তার হন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। তিনি রাঁচির বাসিন্দা। ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে বহু জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিনি। মামলা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধেও। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা রাহুলের, বললেন; ‘যে যত ভয় পায়, সে তত চমকায়’]
জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ড পুলিশ তাঁর সন্ধান শুরু করলে কলকাতায় পালিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ড পুলিশের খবরের ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ও লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা ওই ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেন। তারই ভিত্তিতে রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে ফের রেপো রেট বাড়াল RBI, বাড়তে পারে ব্যাংক ঋণে সুদের হারও]
ওই আইনজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রাঁচিতে তাঁর তিনটি ঠিকানায় এদিন হানা দেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তল্লাশিতে ওই আইনজীবীর একটি কালো ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, একাধিক নথি এবং ডিজিটাল লেনদেনের তথ্য এসেছে গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, অর্থের বিনিময়ে ঝাড়খণ্ড সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরনের বিরুদ্ধে একের পর এক জনস্বার্থ মামলা করে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই আইনজীবীর বিপুল সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে। ওই আইনজীবীর ১৬টি ফ্ল্যাট, একটি ৩ তলা বাড়ি, নয়ডায় ফ্ল্যাট ও অফিসের সন্ধান মিলেছে। সদ্যই রাঁচি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে ৭ একর জমি কিনেছেন তিনি। ওই আইনজীবীর এই বিপুল আয়ের উৎস কী? ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনি যুক্ত কিনা, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।