অর্ণব আইচ ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শনিবারের বারবেলায় বিধানসভা চত্বরে হাজির পুলিশ। এমনিতে বিধানসভা ভবনের (West Bengal Assembly) বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে পুলিশের উপর। ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে মার্শালদের উপর। অনুমতি ব্যতীত পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করে না। কিন্তু শনিবার বিধানসভা ভবনের অন্দরেই ঢুকে গেল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। বেশ কিছুক্ষণ মার্শালের সঙ্গে কথাও বললেন পুলিশ আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখলেন সিসিটিভি ফুটেজ।
আসলে বিধানসভা চত্বরের অন্দরেই বিজেপির ১১ বিধায়কের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবনামনার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল (TMC)। সেই অভিযোগের তদন্তেই বিধানসভা চত্বরে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এদিন পুলিশ আধিকারিকরা বেশ কিছুক্ষণ বিধানসভা চত্বরে ছিলেন। সেদিন কী ঘটেছিল জানতে মার্শালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেন। করা হয়েছে ভিডিওগ্রাফি, তোলা যায় ছবিও।
[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, লণ্ডভণ্ড হবে বাংলা?]
এদিকে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার ঘটনায় আরও ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করেছে পুলিশ। তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায়, শালতোড়ার চন্দনা বাউরি ও নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (Mihir Goswami) ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে ৫ জন বিধায়ককে তলব করা হয়েছিল। সোমবার ডাকা হয়েছে বাঁকুড়ার নীলাদ্রিশেখর দানা, শিলিগুড়ির শঙ্কর ঘোষ, পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মাদারিহাটের মনোজ টিজ্ঞা ও ফালাকাটার দীপক বর্মনকে। এবার তালিকায় যুক্ত হলেন আরও তিনজন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ডাকা হয়েছে তিন বিজেপি বিধায়ককে।
[আরও পড়ুন: ‘কেন বেশি আদরযত্ন পাবে?’, রাগে ৩ বছরের ননদকে দুধে বিষ মিশিয়ে ‘খুন’ বউদির]
পুলিশের এই পদক্ষেপের পালটা দিয়েছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই চারের বদলে আটের কথা বলেছিলেন। সেই কথাই সত্য প্রমাণ করতে এসব ডাকাডাকি হচ্ছে। এসব হেনস্থা করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না।”