সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের তৃতীয় লিঙ্গদের মানুষের জন্য সুখবর। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাবেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। বুধবার এমনই ঘোষণা করলেন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের হাতে সরকারি শংসাপত্র ও পরিচয়পত্র তুলে দেয় রাজ্য। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই এই ঘোষণা করলেন শশী পাঁজা।
রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাবেন তৃতীয় লিঙ্গেরাও। নিয়োগের ফর্মে মহিলা, পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিচয়পত্র হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: পায়ের অস্ত্রোপচার সফল, হাসপাতালের বেড থেকেই চিকিৎসকদের ধন্যবাদ কুণালের]
কেন্দ্রীয় আইন মেনে গেজেট নোটিফিকেশন আগেই হয়েছিল। পুলিশে রূপান্তরকামীদের চাকরির সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। হাসপাতালেও চলছিল রূপান্তরকামীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড গঠনের। কিন্তু গোড়াতেই পেকেছিল জট। আবেদন করেও এ রাজ্যের রূপান্তরকামীরা পাচ্ছিলেন না শংসাপত্র। যা সরকারি চাকরি বা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। অবশেষে জট কাটে। বুধবার রবীন্দ্রসদনে বেলা সাড়ে এগারোটায় এ রাজ্যের রূপান্তরকামীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন রাজ্যের নারী-শিশু কল্যাণ ও শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এই শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এ রাজ্যে অবশ্য শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। ১৪ জন পেয়েওছিলেন। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের পোর্টালে হলফনামার কপি, পুরনো আধার কার্ড জমা দিয়ে আবেদনকারীকে শংসাপত্র চাইতে হয়, এটাই নিয়ম। শংসাপত্র ইস্যু করেন জেলার কালেক্টর বা জেলাশাসক। তাঁদেরই সই থাকে শংসাপত্রে। আইনত, আবেদনকারীকে এক মাসের মধ্যে শংসাপত্র দেওয়ার কথা। কিন্তু সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় শংসাপত্র দেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে থমকে গিয়েছিল কাজ।
[আরও পড়ুন: পায়ের অস্ত্রোপচার সফল, হাসপাতালের বেড থেকেই চিকিৎসকদের ধন্যবাদ কুণালের]
জানা গিয়েছে, শতাধিক রূপান্তরকামীর আবেদন আটকে রয়েছে। কলকাতায় ঘরছাড়া রূপান্তরকামীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হোম ‘গরিমা গৃহ’-র আবাসিকরাও রয়েছেন তালিকায়। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের জেলা আধিকারিকদের শংসাপত্র দেওয়ার তালিম হয়ে গিয়েছে।