নব্যেন্দু হাজরা: দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতায় শুরু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক ‘শপিং ফেস্টিভ্যাল’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একেবারে দুবাইয়ের ধাঁচে আগামী ২০-২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচদিন বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। তবে শহরের বিভিন্ন শপিং মলে ফেস্টিভ্যাল চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। বিদেশের বহু নামী সংস্থা উৎসবে অংশ নেবে।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা শিল্প বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, দেশ-বিদেশের ৫০০-৫৫০ রকমের সামগ্রীর স্টল সেখানে থাকবে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার-সহ আরও একাধিক দেশ এই ফেস্টিভ্যালে অংশ নেবে। নবান্নে এদিন শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ঠিক হয়েছে, আগামী বছরের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হবে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)। প্রায় ৪০০-৪৫০ বিদেশী অতিথি আসবে সেখানে। তবে নবান্নে এদিন মূলত শপিং ফেস্টিভ্যালেরই প্রস্তুতি বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক দপ্তরের সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই এই ফেস্টিভ্যালকে ভালোমতো করার। একেকজন সচিবকে একেকটি কাজের ইনচার্জ করা হয়েছে ।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হাতেই প্রতিবাদে পথে নামলেন মিঠুন, বিবেক জাগরণ যাত্রায় মহাগুরু]
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের প্রথম সারির কয়েকজন শিল্পপতি, কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন বণিকসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা, মুখ্যসচিব, শিল্পসচিব, শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এবং এমডি-সহ পদস্থ কর্তারা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের উদ্দেশে জানতে চান, তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা! এরাজ্যে শিল্পস্থাপনের যে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, সেকথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘খালি পেটে বিপ্লব হয় না, পুজোয় আছি, উৎসবে নেই’, অবস্থান স্পষ্ট করলেন স্বস্তিকা]
আগামী ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। শিল্পপতিদের সুবিধার জন্য যে যে বিষয়গুলি দরকার, তা নিয়ে রাজ্য সরকার একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে। পরিকাঠামোর বিকাশ থেকে এক জানালা পদ্ধতি কার্যকর করার মতো বিষয় শিল্পমহলকে বাংলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে ৪ লক্ষ কোটি টাকার কাছে বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে।