নব্যেন্দু হাজরা: ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজেল। যার জেরে বেড়েছে ভলভো বাসের ভাড়াও। বিমানের ধাঁচে ফ্লেক্সি ফেয়ার নেওয়া হচ্ছে ভলভোতে। যার ফলে দিঘা বা শিলিগুড়ি যেতেও রীতিমতো চাপ পড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে। সেই সমস্যা খানিকটা হলেও সমাধানের পথে। কারণ, শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে বাড়ছে সরকারি বাসের সংখ্যা। পাশাপাশি শীঘ্রই চালু হতে পারে কলকাতা-কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা, এমনটাই খবর।
সোমবার ময়দান টেন্টে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয় বলে খবর। এরপরই জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি-কলকাতা (Siliguri-Kolkata) রুটে বাড়ানো হচ্ছে সরকারি বাসের সংখ্যা। আগে মোট ৭ টি বাস চলত। এখনও তার পরিবর্তে দশটি চালানো হবে। ফলে যাত্রীদের পকেটের খানিকটা স্বস্তি মিলবে বলেই খবর। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা-কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নেপাল ও বাংলার সরকারের তরফে সম্মতি মিলেছে। কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিললেই চালু হবে বাস পরিষেবা। যা ভ্রমণ পিপাষুদের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল খবর। এতে নেপালের পর্যটন শিল্প আরও খানিকটা চাঙা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বর-সন্তান ছেড়ে ফের বিয়ে! দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে গ্রামে ঢুকতেই মেয়েকে এলোপাথাড়ি কোপ বাবার]
উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে বাড়ছে জ্বালানির দাম। ফলে বাড়ছে খরচও। আর সেই খরচকে সামাল দিতেই ভাড়া আর নিয়ন্ত্রণ করছে না বেসরকারি বাস এজেন্সিগুলো। চাহিদা বুঝে বাড়িয়ে দিচ্ছে ভাড়া। অথচ পরিবহণ দপ্তরের তরফে ২০১৮ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে দূরপাল্লার ভলভো এবং নন ভলভো এসি বাসের ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়। ভলভোতে প্রতি কিলোমিটার ২টাকা ২০ পয়সা এবং নন ভলভো এসিতে ২ টাকা করে। কিলোমিটার অনুযায়ী ভাড়া ঠিক হয়। কিন্তু ওটা ওই বিজ্ঞপ্তি আকারেই রয়ে গিয়েছে।
বাসচালকদের দাবি, যেভাবে ডিজেলের দাম রোজ বাড়ছে তাতে ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই। রোজ তো আর ভাড়া বাড়ানো যায় না। তাই বিমানের ধাঁচে এখানেও ফ্লেক্সি ফেয়ার করা হয়েছে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভাড়ার অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট তালিকা থাকা দরকার। না হলে তো যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া হবে। যাত্রীরা সমস্যায় পড়েবন।”