বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বাম-কংগ্রেস (CPM-Congress) জোট নিয়ে অবশেষে মিলল রফাসূত্র। তবে আসনের নিরিখে এগিয়ে রইল কংগ্রেসই। গতবার জোটের ঝুলিতে আসা ৭৭টি আসনের ভাগাভাগি নিয়ে এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছল দু’দল। বাকি ২১৭টি আসন নিয়ে ফের ২৮ তারিখ আলোচনায় বসবে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
আসনরফা নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছিল দুই দল। সেখানে ৭৭টি আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে কংগ্রেস। ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেবে বামেরা। এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, “গতবার নির্বাচনে ৪৪টি আসনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জয় পেয়েছিল। আর ৩৩ টি আসনে জিতেছিল বামেরা। জেতা আসনগুলিতে সংশ্লিষ্ট দলই প্রার্থী দেবে।” পরবর্তী বৈঠক ২৮ জানুয়ারি। সেখানে বাকি ২১৭টি আসন নিয়ে আলোচনা হবে। এদিনের বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। তাই বাকি আসনগুলি নিয়ে এদিন আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, “সেদিন (২৮ জানুয়ারি) যদি কোনও আসন নিয়ে কোনও জটিলতা দেখা দেয় তাহলে মার্চ মাসের ১ তারিখ ফের বৈঠকে বসবে দুই দল।”
[আরও পড়ুন : কেন্দ্রের মতো রাজ্যের কৃষি আইনও ‘কৃষক বিরোধী’, বাতিলের দাবি জানাল বাম-কংগ্রেস]
এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে সারে বাম নেতৃত্ব। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় যাতে নিজেদের মধ্যে কোন মতানৈক্য না হয় সেজন্যই এই বৈঠক। প্রতিটি বামদলের সুর যাতে একই থাকে সেই জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, আরএসপি রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলম সাইরানী। সূত্রের খবর, জোটের বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফের রাতে বৈঠকে বসবে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।