অর্ণব আইচ: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পেরিয়েছে। অবশেষে উদ্ধার আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। আহত বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার রাত মানে আড্ডা, হাসিঠাট্টার আদর্শ সময়। রাত ১২টার আগে সেই আড্ডা ভাঙে না। ১৭ মার্চও গার্ডেনরিচের (Gardenrich) ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের অভিশপ্ত বহুতলের দোতলায় সেই আড্ডা চলছিল। কে-ই বা জানত বন্ধুদের হাসি-মজার মেজাজ খান খান করে দেবে সেই বাড়িই? অথচ বাস্তবে ঘটে গেল সেই অনভিপ্রেত ঘটনাই। রাত ১১টা ৫০ নাগাদ নির্মীয়মাণ বহুতলটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে (Collapsed)। আর তার নিচে আটকে পড়েন এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু। সঙ্গে সঙ্গে আত্মীয়, বন্ধুদের ফোন করে শেরুর আর্তনাদ – "ফাসা হুয়া হ্যায়, মুঝে নিকালো।" ব্যস, তার পর সব চুপ।
[আরও পড়ুন: মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি! ভোটের ময়দানে ডিম-ভাত বনাম মাছ-ভাতে লড়াইয়ে সরগরম পুরুলিয়া]
এর পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের মাঝখান থেকে একে একে আটকে থাকা বহু মানুষকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। একে একে ১০ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে হদিশ মিলছিল না শেরুর। তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ-এনডিআরএফ। এক পর্যায়ে গার্ডেনরিচের আজাহার মোল্লা বাগানে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের কাজ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনডিআরএফ, কলকাতা পুলিশের ডিএমজি ও রাজ্য সরকারের সিভিল ডিফেন্স। পরবর্তীতে ফের উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে শেরুকে উদ্ধার করা হল। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।