সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিন, সারারাতের চেষ্টা। তারপরে নিয়ন্ত্রণে এল কলুটোলা স্ট্রিটের ভয়াবহ আগুন (Fire)। তবে এখনও গোটা বাড়িতে রয়েছে পকেট ফায়ার। ১০টা ইঞ্জিন এখনও কাজ করে চলছে বলে খবর দমকল সূত্রে। বিধ্বংসী আগুনে বাড়ির পিছনের অংশ ভেঙে পড়েছে। সামনের অংশটিও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করা হচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন দমকল কর্মী। এদিকে, চারতলা বাড়িটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে এত দীর্ঘ সময় লাগল, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার বেলা ১১টার কিছু আগে আচমকাই বড়বাজার (Burrabazar) লাগোয়া কলুটোলা স্ট্রিটের চারতলা বাড়ির দোতলা থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাড়িটিতেই। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীও। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তিনি কাজে হাত লাগাতে গিয়ে প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থও হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ফোন করে আগুনের পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় ২৫ রুটের বাসকে শোকজ, ফের ধরা পড়লে বাতিল হবে পারমিট]
সারারাত ধরে দমকল কর্মী, পুলিশ কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দারা হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করেছেন। গভীর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পকেট ফায়ার থাকায় শুরু হয় শীতলীকরণের কাজ, চলছে কুলিং প্রসেস। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িটি তালা দেওয়া ছিল। দুর্ঘটনার মুহূর্তেও চাবি হস্তান্তর করেননি মালিক। দমকল কর্মীরা চাবি হাতে না পাওয়ায় তাঁরা ভিতরে ঢুকে জলের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে এই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকার ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।