সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের টেট সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। পাঁচবছর টেট পরীক্ষা হয়নি। টেট উত্তীর্ণদের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ তো রয়েছেই। জল গড়িয়েছে আদালতে। দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েই গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, প্রতিবছর টেট হবে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই টেটের দিন ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। তবে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়াই ছিল চ্যালেঞ্জ। তাই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চালু করা হয় কন্ট্রোল রুমও। ওএমআর শিটের কপি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি না হলে লালনের দেহ নিতে অস্বীকার, CID তদন্তের দাবি স্ত্রীর]
২০২২ সালের গোটা টেটের প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “টেট হওয়ার পর কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজ ভাল হচ্ছে।” গত রবিবার পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যে তাঁরাও সন্তুষ্ট। এবার ফল প্রকাশের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই টেট ও এসএসসিতে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। পরবর্তীতে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপদেক্ষা কমিটির সদস্য এস পি সিনহা, অশোক সাহা, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।