ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাতে এখনও আটকে সদ্য নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ। এবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে কী করা যায়, তা নিয়েই অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এবার কি তবে আইনি পথে শপথ জট কাটানো লক্ষ্য, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
সদ্য বরানগর ও ভগবানগোলার উপনির্বাচনে জয়ী হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। তাঁদের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছে। রাজভবনের দাবি, শপথ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়ে সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দুজনকে রাজভবনে ডেকে পাঠান। কিন্তু বিধানসভাতেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দুজনে। তাই রাজভবনে যাননি তাঁরা। পরিবর্তে ‘শপথবাক্য পাঠ করার জন্য রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’-এই প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।
[আরও পড়ুন: ‘পলটুরাম’ নীতীশে ক্ষুব্ধ বিহার বিজেপি! বিধানসভায় একা লড়ার দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে নিশানা করে তিনি বলেন, “জেতার পর একমাস ধরে বসে রয়েছেন আমার বিধায়করা। শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচন করেছেন। শপথ নিতে না দেওয়ার কী অধিকার রয়েছে ওঁর? স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন রাজ্যপাল, অথবা ডেপুটি স্পিকারকে দেবেন, তা না হলে নিজে বিধানসভায় আসবেন! রাজভবনে কেন যাবেন সবাই? রাজভবনের যা কীর্তি, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমার কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।”
যদিও এই মন্তব্যের পালটা শুক্রবার সকালে রাজভবনের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেওয়া হয়। মমতার অভিযোগকে মোটেও আমল দেওয়া হচ্ছে না বলেই রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়। জটিলতা মেটাতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথা হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও। তিনি এই রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তাই বর্তমান রাজ্যপালকে শপথ জটিলতার কাটানোর জন্য সুপরামর্শ দেওয়ার আর্জিও জানান। স্পিকার দাবি করেন, উপরাষ্ট্রপতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।