সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ শান্তনু সেনের (Santanu Sen) মেয়ের ডাক্তারি পড়া নিয়ে টুইটযুদ্ধ এখনও জারি। সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ NEET-এ যার ব়্যাঙ্ক ছিল একলক্ষের উপর, তিনি কীভাবে ভরতি হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে? প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পালটা দিতেও ছাড়লেন না তৃণমূল সাংসদ।
রবিবার দুপুরে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে একটি টুইট করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি দাবি করেন, সাংসদ কন্যা সৌমিলি NEET অর্থাৎ সর্বভারতীয় প্রবেশিকায় পাশ করেননি। তা সত্ত্বেও MBBS অর্থাৎ ডাক্তারি পড়ছেন। পালটা মেয়ের বেশ কিছু শংসাপত্র টুইট করেন শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, মেয়ে সৌমিলি বরাবরই মেধাবী। প্রতিক্ষেত্রেই রেজাল্ট দুর্দান্ত। টুইটেই লেখেন, “NEET পাশ না করে কেউই ডাক্তারি পড়তে পারেন না।” সোমবার সেই টুইটের উত্তর দিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই জুড়ে দিলেন সৌমিলি সেনের NEET পরীক্ষার রেজাল্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে সাংসদ কন্যার ব়্যাঙ্ক ১ লক্ষ ২১ ৪৭৩।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নবান্নে মুখোমুখি মমতা-অমিত শাহ, থাকবেন আরও একাধিক মুখ্যমন্ত্রী]
ওই টুইটেই সুকান্ত মজুমদার লেখেন, “আপনি দাবি করেছিলেন, আপনার মেয়ে মেধাবী। কিন্তু NEET পরীক্ষায় তাঁর ব়্যাঙ্ক ১ লক্ষের বেশি। তাহলে কীভাবে ভরতি হলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে? ” সেখানেই সুকান্ত দাবি করেন, সুবর্ণ বণিক সমাজ কোটায় ভরতি করা হয়েছে সৌমিলি সেনকে। বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন, “আর পাঁচজন সাধারণ ছাত্র কি এই ফলের পরও বিশেষ কোটায় ভরতি হতে পারবেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে?”
টুইটেই সুকান্তকে পালটা দিয়েছেন শান্তনু সেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযানের কথা। লিখেছেন, “মুখে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, মহিলা ক্ষমতায়নের কথা বলে এক ডাক্তারি ছাত্রীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।” শান্তনুর কটাক্ষ, “রাজনৈতিকভাবে বাবার সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে মেয়েকে আক্রমণ করা হচ্ছে।” এদিন ফের আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। যদিও তাতে দমে যাননি সুকান্ত। পালটা টুইটে লেখেন, “আমার তুলে ধরা নথিকে গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।” সবমিলিয়ে মেয়েকে কেন্দ্র করে দুই সাংসদের যুদ্ধ চরমে।