স্টাফ রিপোর্টার: এসআইআর আবহে টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বসতিবাসীদের দিয়ে ফর্ম পূরণ করানোর অভিযোগ উঠেছে দিল্লির সিডস নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে কালিকাপুর বস্তিবাসীরা এই অভিযোগ তুলেছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চারজন সদস্যকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। যাদের মধ্যে একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাকিরা নদিয়ার। এর পিছনে সাইবার প্রতারণা চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। সাইবার অপরাধমূলক কাজের জন্য টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গরিব বসতিবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আধারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল কি না স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচয় দিয়ে চার মহিলা কালিকাপুর বসতিদের এসে এলাকার মানুষজনকে বলে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের আড়াই হাজার টাকা করে দেবে। সেজন্য একটি ফর্ম পূরণ করানো হয়। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আধার কার্ডে তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, এলাকার লোকজনই আমাকে খবর দেয় কিছু মহিলা বস্তিবাসীদের কাছ থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে ফর্মপূরণ করাচ্ছেন। কীসের ফর্মপূরণ করা হচ্ছে তা জানতে তখন আমার লোকজন পাঠাই। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার টাকা বিলির খবরে খটকা লাগে কাউন্সিলরের। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলাদের ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে আসা হয়।
কাউন্সিলর জানান, যে সংস্থার নাম করে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সদস্যরা তার কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেননি। এরপরই আনন্দপুর থানাকে খবর দেন কাউন্সিলর। স্থানীয় বাসিন্দা আশরানি সাহা বলেন, আসল আধার কার্ড দেখতে চাইল। ফোনে আগে মেসেজ আসবে, ওটিপি আসবে, তবেই টাকা তুলতে পারব। সেইমতো এলাকার কয়েকজন সমস্ত তথ্য তুলে দেয় তাঁদের হাতে। ফর্মে সইও করিয়ে নেয়। পুলিশের অনুমান, পিছনে প্রতারণা চক্র থাকতে পারে।
