গৌতম ব্রহ্ম: মজুরি বাবদ ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ৩৭৩২ কোটি টাকা ঢুকবে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনা মঞ্চ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঘোষণা মেনেই রাজ্য বাজেটে ১০০ দিনের জন্য টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। আবাস যোজনাতেও আংশিক বরাদ্দের সম্ভাবনা।
অনেক প্রকল্পেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের টাকা প্রাপ্য। বকেয়ার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজারে পৌঁছেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে ছয় সচিব গিয়ে দিল্লিতে বৈঠকও সেরে এসেছেন। কিন্তু এখনও কোনও আশ্বাস মেলেনি। বরং ক্যাগ রিপোর্টকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবির নতুন করে শান দিয়েছে সমালোচনায়।
[আরও পড়ুন: কুকুরের পাত থেকে বিস্কুট তুলে দলীয় কর্মীকে দিলেন রাহুল গান্ধী! ভাইরাল ন্যায় যাত্রার ভিডিও]
বিরোধী দলনেতা দিল্লি থেকে ফেরার পর একশো দিনের কাজে দুর্নীতি ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ইডি। এরই মধ্যে মজুরি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে বিডিওদের উদ্দেশে ১৪ দফার নিয়ম সম্বলিত এসওপি জারি করেছে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে একশো দিনের পাশাপাশি আবাসন প্রকল্পেও টাকার আংশিক সংস্থান থাকছে বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রের খবর, আবাস প্রকল্পে ১১ লক্ষ নথিভুক্ত আবেদনকারীর টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ ৬৬০০ কোটি টাকারও বেশি।
এদের একটা অংশের জন্যে অর্থ বরাদ্দ হতে পারে বাজেটে। অন্তত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সূত্র ধরে এমনই আশা জেগেছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই টাকাও রাজ্যের তরফে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এক দফায় তা দেওয়া হবে না। কয়েক দফায় তা মেটানো হবে। বাকি রাখা হবে একশো দিনের উপাদান বাবদ টাকাও। এই খাতে রাজ্যের প্রাপ্য ৩১৮১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে একশো দিনের কাজে বকেয়া ৬৯১৩ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: CAG রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির আলোচনার দাবি খারিজ স্পিকারের, তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়]
উপাদানের টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। কিন্তু পঞ্চায়েতগুলোকে এখন এই টাকা দেওয়া হবে না। তবে সব মিলিয়ে সামাজিক ক্ষেত্রে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ যে বাড়ছে তা বেশ স্পষ্ট।